১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোবাইল চুরি নিয়ে বিরোধে মিথ্যা হত্যা মামলার অভিযোগ

গাইবান্ধার এক সাধারণ কৃষক পরিবার মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সদর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের মন্টু আকন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে মন্টু আকন্দ জানান, গত ১৮ জুন স্থানীয় মোশাররফ হোসেন বাবুর দোকানের সামনে মোবাইল চুরি নিয়ে প্রতিবেশী মুরাদ মিয়ার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় মুরাদের ভাই রুবেল মিয়া ও তাদের বৃদ্ধ পিতা আব্দুল হাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ঝগড়ার একপর্যায়ে আব্দুল হাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এরপরও পরিকল্পিতভাবে তাকে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং ১১ জুলাই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। মন্টু আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক বিরোধের জেরে মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে রুবেল মিয়া পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা হত্যা মামলায় তাকেসহ তার ভাই মোকছেদ আকন্দ, ভাতিজা বাবলু আকন্দ, মোকছেদের ছেলে মুছা আকন্দ, আরমান আকন্দ ও স্ত্রী অবিরন বেগমকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। অথচ মৃত আব্দুল হাই বহুদিন ধরেই হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে বাদী পক্ষ মোবাইল ফোনে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্টু আকন্দ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

📢 লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

মোবাইল চুরি নিয়ে বিরোধে মিথ্যা হত্যা মামলার অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
গাইবান্ধার এক সাধারণ কৃষক পরিবার মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সদর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের মন্টু আকন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে মন্টু আকন্দ জানান, গত ১৮ জুন স্থানীয় মোশাররফ হোসেন বাবুর দোকানের সামনে মোবাইল চুরি নিয়ে প্রতিবেশী মুরাদ মিয়ার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় মুরাদের ভাই রুবেল মিয়া ও তাদের বৃদ্ধ পিতা আব্দুল হাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ঝগড়ার একপর্যায়ে আব্দুল হাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এরপরও পরিকল্পিতভাবে তাকে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং ১১ জুলাই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। মন্টু আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক বিরোধের জেরে মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে রুবেল মিয়া পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা হত্যা মামলায় তাকেসহ তার ভাই মোকছেদ আকন্দ, ভাতিজা বাবলু আকন্দ, মোকছেদের ছেলে মুছা আকন্দ, আরমান আকন্দ ও স্ত্রী অবিরন বেগমকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। অথচ মৃত আব্দুল হাই বহুদিন ধরেই হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে বাদী পক্ষ মোবাইল ফোনে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্টু আকন্দ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।