
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে (বীর উত্তম) নিয়ে অবমাননার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপিপন্থি শিক্ষক সংগঠন জিয়া পরিষদ। রবিবার (১৩ জুলাই) পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ফারুকুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
আজ (সোমবার) বেলা এগারোটার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের করিডোর থেকে , বিএনপিপন্থি শিক্ষক সংগঠনের (জিয়া পরিষদ) সভাপতি অধ্যাপক ফারুকুজ্জামান খানের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জিয়া স্মৃতি ফলক পর্যন্ত পৌছায়।
গত রবিবার ১৩ জুলাই বিবৃতিতে বলা হয়, জিয়া পরিষদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, কিছু দুর্বৃত্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ছবির ওপর পদাঘাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে চরম অসভ্যতা ও ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে প্রকাশ্যে মিছিল করেছে।
এতে আরও বলা হয়, এই ঘটনা শুধু একজন জাতীয় বীর কে অবমাননার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদার ওপর নির্লজ্জ আঘাত। শহিদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান ঘোষক এবং একজন জাতীয় বীর। তনর প্রতি এমন অসম্মান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরেন ইবি জিয়া পরিষদ। দাবিগুলো হলো—দ্রুত ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা, দোষীদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট আইনে শাস্তির আওতায় আনা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে রাজনৈতিক সহনশীলতা ও ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখার পরিবেশ নিশ্চিত করা। এছাড়া দেশবাসী ও সর্বস্তরের জাতীয়তাবাদী জনতাকে যাবতীয় অপচেষ্টা ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান জিয়া পরিষদ নেতৃবৃন্দ।