১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে তিস্তা নদী তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদী তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ মঙ্গলবার ১৫ জুলাই কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর তীরে চলমান তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় এক ব্রিফিং-এ তিনি বলেন,
তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে।
তিনি জানান, তিস্তার সর্বোচ্চ ভাঙন প্রবণ এলাকার ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৯ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে এবং বাকি ২৬ কিলোমিটারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে—এই অংশের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
উপদেষ্টা বলেন, তিস্তার ভাঙনের স্থায়ী বাঁধের দাবি যৌক্তিক, তবে তা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় ও পরিকল্পনা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার স্বল্প সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে তীর সংরক্ষণের কাজ করছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই চুক্তির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। তিনি আরও জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি গণশুনানি সম্পন্ন হয়েছে, যাতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও অংশগ্রহণ করেছেন। এসব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহে পাঠিয়েছে এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতেই পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো: এনায়েত উল্লাহ, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো: মাহবুবর রহমান, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান, রংপুর অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: সুবেদার ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নুর আলম, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান রাজারহাট উপজেলার গতিয়াসাম ক্লিনিক সংলগ্ন তিস্তার বাঁধ এবং রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা রেলসেতুর উজানে ডান তীর রক্ষা বাঁধের চলমান কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন। এর আগে সকালে উপদেষ্টা
নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,
তিস্তা মহাপরিকল্পনা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কুড়িগ্রামে তিস্তা নদী তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদী তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ মঙ্গলবার ১৫ জুলাই কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর তীরে চলমান তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় এক ব্রিফিং-এ তিনি বলেন,
তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে।
তিনি জানান, তিস্তার সর্বোচ্চ ভাঙন প্রবণ এলাকার ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৯ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে এবং বাকি ২৬ কিলোমিটারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে—এই অংশের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
উপদেষ্টা বলেন, তিস্তার ভাঙনের স্থায়ী বাঁধের দাবি যৌক্তিক, তবে তা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় ও পরিকল্পনা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার স্বল্প সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে তীর সংরক্ষণের কাজ করছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই চুক্তির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। তিনি আরও জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি গণশুনানি সম্পন্ন হয়েছে, যাতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও অংশগ্রহণ করেছেন। এসব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহে পাঠিয়েছে এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতেই পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো: এনায়েত উল্লাহ, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো: মাহবুবর রহমান, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান, রংপুর অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: সুবেদার ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নুর আলম, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান রাজারহাট উপজেলার গতিয়াসাম ক্লিনিক সংলগ্ন তিস্তার বাঁধ এবং রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা রেলসেতুর উজানে ডান তীর রক্ষা বাঁধের চলমান কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন। এর আগে সকালে উপদেষ্টা
নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,
তিস্তা মহাপরিকল্পনা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে।