০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশে গোপীরায়ের পাড়া বটতলা মন্দিরে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত

  • অরবিন্দ রায় 
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 36
নরসিংদীর পলাশে গোপীরায়ের পাড়া বটতলা শুরু হয়েছে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  পৃথিবীতে অশুভ শক্তির বিনাশ করার জন্য আদ্যা শক্তির আরাধনা করা। পৃথিবীতে সকল পাপ মুছে জাতিগত বিভেদ, হিংসা, হানাহানি সকলে মিলে অসাম্প্রদায়িক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রতি বছর শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উদযাপন করে থাকে। রামায়নে রামচন্দ্র শরৎকালে অশুভ শক্তির নাশ করার জন্য দেবীর আরাধনা করেছিলেন। পুরান মতে, চন্দ্র বংশীয় রাজা সুরথ বসন্ত কালে দেবীর আরাধনা করেন। কালের প্রার্থক্য হলেও আরাধনা হয় দেবী দুর্গারই। শরৎকালে হয় শারদীয়া দুর্গাপূজা আর বসন্ত কালে দেবী বাসন্তী রুপে। বসন্তকালে দুর্গা পূজা শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা নামে পরিচিত। শুক্রবার সপ্তমী পূজা,  শনিবার অষ্টমী পূজা, রবিবার নবমী পূজা, সোমবার দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পুরানে দেবীর মর্ত্যে আসা -যাওয়ার জন্য চারটি বাহনের উল্লেখ পাওয়া যায়। চারটি বাহন হলো হাতি, ঘোড়া, পালকি ও নৌকা। এ বছর বাসন্তী পূজায় দুর্গার আগমন ও গমন হাতিতে হবে। পুরান মতে, হাতিতপ চড়ে দেবীর ভ্রমণ শুভ লক্ষন। এতে মর্ত্যবাসীর সৌভাগ্য ও সম্পদ বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন পন্ডিত পাড়া, আতশি পাড়া, বিলপাড়া, রাবান, ধলাদিয়া, কাটাবের, পলাশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিশু,কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সকল শ্রেণির মানুষ দল বেধে শত শত নারী পুরুষ গোপীরায়ের পাড়া বটতলা মন্দিরে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা দেখতে আসছেন। সাউন্ড বক্সে বাজানো হচ্ছে ধর্মীয় গান, সন্ধ্যা আরতির সময় ঢাকের শব্দে মুখরিত মন্দির প্রাঙ্গণ। আশে পাশের গ্রামে বিরাজ করছে উৎসমুখ পরিবেশ। সনাতনধর্মী মানুষ বিশ্বাস করেন, অশুভ শক্তির বিনাশের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের শুভ শক্তির উন্মেষ হোক।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বগুড়া শাহজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নিশাদ অর্ধ ডজন মামলার আসামি গ্রেফতার

পলাশে গোপীরায়ের পাড়া বটতলা মন্দিরে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
নরসিংদীর পলাশে গোপীরায়ের পাড়া বটতলা শুরু হয়েছে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  পৃথিবীতে অশুভ শক্তির বিনাশ করার জন্য আদ্যা শক্তির আরাধনা করা। পৃথিবীতে সকল পাপ মুছে জাতিগত বিভেদ, হিংসা, হানাহানি সকলে মিলে অসাম্প্রদায়িক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রতি বছর শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উদযাপন করে থাকে। রামায়নে রামচন্দ্র শরৎকালে অশুভ শক্তির নাশ করার জন্য দেবীর আরাধনা করেছিলেন। পুরান মতে, চন্দ্র বংশীয় রাজা সুরথ বসন্ত কালে দেবীর আরাধনা করেন। কালের প্রার্থক্য হলেও আরাধনা হয় দেবী দুর্গারই। শরৎকালে হয় শারদীয়া দুর্গাপূজা আর বসন্ত কালে দেবী বাসন্তী রুপে। বসন্তকালে দুর্গা পূজা শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা নামে পরিচিত। শুক্রবার সপ্তমী পূজা,  শনিবার অষ্টমী পূজা, রবিবার নবমী পূজা, সোমবার দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পুরানে দেবীর মর্ত্যে আসা -যাওয়ার জন্য চারটি বাহনের উল্লেখ পাওয়া যায়। চারটি বাহন হলো হাতি, ঘোড়া, পালকি ও নৌকা। এ বছর বাসন্তী পূজায় দুর্গার আগমন ও গমন হাতিতে হবে। পুরান মতে, হাতিতপ চড়ে দেবীর ভ্রমণ শুভ লক্ষন। এতে মর্ত্যবাসীর সৌভাগ্য ও সম্পদ বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন পন্ডিত পাড়া, আতশি পাড়া, বিলপাড়া, রাবান, ধলাদিয়া, কাটাবের, পলাশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিশু,কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সকল শ্রেণির মানুষ দল বেধে শত শত নারী পুরুষ গোপীরায়ের পাড়া বটতলা মন্দিরে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা দেখতে আসছেন। সাউন্ড বক্সে বাজানো হচ্ছে ধর্মীয় গান, সন্ধ্যা আরতির সময় ঢাকের শব্দে মুখরিত মন্দির প্রাঙ্গণ। আশে পাশের গ্রামে বিরাজ করছে উৎসমুখ পরিবেশ। সনাতনধর্মী মানুষ বিশ্বাস করেন, অশুভ শক্তির বিনাশের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের শুভ শক্তির উন্মেষ হোক।