
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মো: আব্দুল হালিম বলেছেন, জামায়াত নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে পরিবর্তন চায়। আর এটাই হল গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সোনালী সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে জামায়াত কাজ করছে।
জামায়াত একটি সংঘবদ্ধ শক্তি, এ শক্তি কে আরও সুসংহত করে সংগঠিত করে গড়তে পারলে জামায়াত সকল অপশক্তিকে মোকাবেলা করে দ্বীনের দাওয়াতি কাজ করতে হবে। প্রত্যেক ইউনিট সভাপতিকে যোগ্য দায়িত্বশীল হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে তৃনমূলের জনগণের মাঝে দ্বীনের সুমহান দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিষ্ঠানের বিশাল পাঠশালা হল জামায়াতের প্রত্যেকটি ইউনিট।
ইউনিট সভাপতিরা জামায়াতে একজন কর্মী হিসাবে কুরআন হাদিস ও ইসলামী জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে একজন সৎযোগ্য মানুষ হিসাবে দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় কুরআনের মর্মবাণী প্রত্যেক নারী পুরুষ শ্রমিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ঘরে পৌঁছাতে হবে।
তিনি শনিবার বেলা ১০ টায় জয়পুরহাট জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা ইউনিট সভাপতিদের নিয়ে শহরের আরামনগর স্থানীয় আব্বাস আলী খাঁন মিলনায়তনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জয়পুরহাট জেলা আমীর ফজলুর রহমান সাঈদের সভাপতিত্বে
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মো: আব্দুর রহিম।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী গোলাম কিবরিয়া মন্ডল এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী হাসিবুল আলম লিটন, এ্যাড. মামুনুর রশীদ ও রাশেদুল আলম সবুজ, শ্রমিক কল্যাণের জেলা সেক্রেটারী এ্যাড. আসলাম হোসেন, শহর জামায়াতের আমির মাও: আনোয়ার হোসেন, সদর আমির মাও: ইমরান হোসেন, পাঁচবিবি উপজেলা আমির মাও: সুজাউল করিম, কালাই উপজেলা আমির মাও: মুনসুর রহমান, আক্কেলপুর উপজেলা আমির মাও: শফিউল হাসান দিপু, ক্ষেতলাল উপজেলা আমির মাও: আমিনুল ইসলাম, জেলা তারবিয়াত সেক্রেটারী মাও: মাহমুদুল হাসান প্রমুখ ।
বিশেষ অতিথি মাওলানা মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, দেশ প্রেমিক জনগনের সমর্থন নিয়ে জামায়াত একটি সুখী সুন্দর কল্যানমুলক মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। তিনি জামায়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন আপনাদেরকে কেউ কোটি টাকার বিনিময়ে কিনতে পারবেনা। এক একটা জামায়াত কর্মীরা হল লোহার বড়ি, লোহা যেমন কেউ হজম করতে পারে না, ঠিক তেমনী জামায়াত কর্মীকে ব্যবহার করতে পারবেনা। জামায়াত কর্মীরা কখনও নিরাশ হবে না, হতাশ হবে না, আল্লাহর উপর ভরসা করে প্রত্যেক ইউনিটকে শক্তিশালী করে আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রতিক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় প্রত্যেক ভোটারকে কর্মী বানাতে হবে।