০১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাবলেট টেপেন্টাডল ২৮০০ পিস উদ্ধার

  • মারুফ হোসেন
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০২:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • 316

ঘাটাইলে মাকেশ্বর বাজারের বেলাল ফার্মেসি থেকে টাপেন্টাডল নামক নিষিদ্ধ মাদক টেবলেট ২৮০০ পিস উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল শাখা।

 

মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের বেলালের নিজ বাড়িতে এই বিপুল পরিমান টেবলেট উদ্ধার করা হয়।

ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত টাপেন্টাডল জাতীয় ওষুধকে `মাদকদ্রব্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

মাদকসেবীরা ওই জাতীয় ওষুধকে মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করায় একে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফশিলে যুক্ত করে ৮ জুলাই ২০২০ সালে এক গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

সেখানে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রস্তাবমতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ওই আইনে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে টাপেন্টাডলকে তফসিভুক্ত করা হল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারায় বলা আছে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি করে তফশিল সংশোধন করে কোনো মাদকদ্রব্যের নাম অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দিতে পারবে।

ধরন ও ব্যাপকতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের মাদককে ‘ক’, ‘খ’ এবং ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সেগুলোকে সময়ে সময়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফসিলভুক্ত করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, এ আইনের তফসিলে উল্লেখিত কোনো দ্রব্য বা মাদকদ্রব্যের সাথে অন্য যে কোনো দ্রব্য একীভূত, মিশ্রিত কিংবা দ্রবীভূত থাকলে সেসব দ্রব্যকেও মাদকদ্রব্য হিসেবে গণ্য করা হয়।

বাংলাদেশে গ্লোব ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড, এসকেএফ বাংলাদেশ লিমিটেড, অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড বিভিন্ন নামে এই ট্যাবলেট উৎপাদন করে। কোম্পানিভেদে একেকটি ট্যাবলেটের দাম ১২ টাকা থেকে ১৭ টাকা।

দাম কম হওয়ায় এবং সহজে পাওয়া যায় বলে এ ধরনের ব্যথানাশক ট্যাবলেট নেশার সামগ্রী হিসেবে ব্যবহারের খবর গত এক দশক ধরেই সংবাদ মাধ্যমে আসছিল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, টাপেন্টাডলকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করায় এসব ট্যাবলেট উৎপাদন না করতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে কোনো কোনো কোম্পানি এই ট্যাবলেটের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও অবরোধ

টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাবলেট টেপেন্টাডল ২৮০০ পিস উদ্ধার

পোস্ট হয়েছেঃ ০২:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

ঘাটাইলে মাকেশ্বর বাজারের বেলাল ফার্মেসি থেকে টাপেন্টাডল নামক নিষিদ্ধ মাদক টেবলেট ২৮০০ পিস উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল শাখা।

 

মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের বেলালের নিজ বাড়িতে এই বিপুল পরিমান টেবলেট উদ্ধার করা হয়।

ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত টাপেন্টাডল জাতীয় ওষুধকে `মাদকদ্রব্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

মাদকসেবীরা ওই জাতীয় ওষুধকে মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করায় একে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফশিলে যুক্ত করে ৮ জুলাই ২০২০ সালে এক গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

সেখানে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রস্তাবমতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ওই আইনে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে টাপেন্টাডলকে তফসিভুক্ত করা হল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারায় বলা আছে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি করে তফশিল সংশোধন করে কোনো মাদকদ্রব্যের নাম অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দিতে পারবে।

ধরন ও ব্যাপকতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের মাদককে ‘ক’, ‘খ’ এবং ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সেগুলোকে সময়ে সময়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফসিলভুক্ত করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, এ আইনের তফসিলে উল্লেখিত কোনো দ্রব্য বা মাদকদ্রব্যের সাথে অন্য যে কোনো দ্রব্য একীভূত, মিশ্রিত কিংবা দ্রবীভূত থাকলে সেসব দ্রব্যকেও মাদকদ্রব্য হিসেবে গণ্য করা হয়।

বাংলাদেশে গ্লোব ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড, এসকেএফ বাংলাদেশ লিমিটেড, অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড বিভিন্ন নামে এই ট্যাবলেট উৎপাদন করে। কোম্পানিভেদে একেকটি ট্যাবলেটের দাম ১২ টাকা থেকে ১৭ টাকা।

দাম কম হওয়ায় এবং সহজে পাওয়া যায় বলে এ ধরনের ব্যথানাশক ট্যাবলেট নেশার সামগ্রী হিসেবে ব্যবহারের খবর গত এক দশক ধরেই সংবাদ মাধ্যমে আসছিল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, টাপেন্টাডলকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করায় এসব ট্যাবলেট উৎপাদন না করতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে কোনো কোনো কোম্পানি এই ট্যাবলেটের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।