০৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ম গোপন রেখে টেলিগ্রামে প্রেম, ‌মাদরাসা ছাত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ

  • মো. সেলিম
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • 185
নোয়াখালীর সদর উপজেলার এক কিশোরী মাদরাসা ছাত্রীকে (১৭) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকার যাত্রা বাড়ির একটি পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মাদরাসা ছাত্রী উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ফাজিল মাদরাসা থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম। এর আগে, গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাগিয়ে নেয় কথিত প্রতারক প্রেমিক। অভিযুক্ত শুভ জিৎ মন্ডল (১৯) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের শংকর মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করত। কয়েক মাস আগে ওই কিশোরীর সাথে সাতক্ষীরার শুভ জিৎ মন্ডল নামে যুবকের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রথম পরিচয় হয়। এরপর শুভ মন্ডল তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে টেলিগ্রামে কথাবার্তা বলে কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। ভুক্তভোগী কিশোরী সেখানে থাকা আরেক মেয়ের নম্বর থেকে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা ১৫ জুন বিকেলে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার যাত্রা বাড়ির জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে। নির্যাতিত কিশোরী বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করে। একটা ছেলের সাথে টেলিগ্রামে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সম্পর্কের পরে ভিকটিম ছেলের সঙ্গে নোয়াখালী থেকে চলে যায়। পরে ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর প্রেমিক তার এক বন্ধুর কাছে তাকে দিলে সে আবার তাকে পতিতালয়ে দিয়ে দেয় বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। তবে ভিকটিম  জায়গা চিনে না। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

গফরগাঁওয়ে নিখোঁজর পাঁচ দিন পর জলাশয় থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ধর্ম গোপন রেখে টেলিগ্রামে প্রেম, ‌মাদরাসা ছাত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
নোয়াখালীর সদর উপজেলার এক কিশোরী মাদরাসা ছাত্রীকে (১৭) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকার যাত্রা বাড়ির একটি পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মাদরাসা ছাত্রী উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ফাজিল মাদরাসা থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম। এর আগে, গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাগিয়ে নেয় কথিত প্রতারক প্রেমিক। অভিযুক্ত শুভ জিৎ মন্ডল (১৯) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের শংকর মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করত। কয়েক মাস আগে ওই কিশোরীর সাথে সাতক্ষীরার শুভ জিৎ মন্ডল নামে যুবকের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রথম পরিচয় হয়। এরপর শুভ মন্ডল তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে টেলিগ্রামে কথাবার্তা বলে কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। ভুক্তভোগী কিশোরী সেখানে থাকা আরেক মেয়ের নম্বর থেকে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা ১৫ জুন বিকেলে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার যাত্রা বাড়ির জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে। নির্যাতিত কিশোরী বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করে। একটা ছেলের সাথে টেলিগ্রামে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সম্পর্কের পরে ভিকটিম ছেলের সঙ্গে নোয়াখালী থেকে চলে যায়। পরে ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর প্রেমিক তার এক বন্ধুর কাছে তাকে দিলে সে আবার তাকে পতিতালয়ে দিয়ে দেয় বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। তবে ভিকটিম  জায়গা চিনে না। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।