১২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগুনে পুড়ে নিঃস্ব অসহায় স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীরা, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

আগুন কেড়ে নিল চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের হাদি ফকিরহাট বাজারের স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন। বুধবার ভোররাতে আগুনে লেগে পুড়ে গেছে তাদের সবকিছু। আগুনের লেলিহান শিখায় নগদ টাকাসহ মালামাল পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। খেটে খাওয়া পরিবারগুলো মুহূর্তে নিঃস্ব হয়ে গেলে। অনেকের কাছে এখন একবেলা খাবার কিনে খাওয়ার টাকাও নেই।

 

বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোররাতে হাদি ফকিরহাট এলাকার জাহাঙ্গীরের কলোনি এ ঘটনা ঘটে। কলোনিতে অসহায় পরিবার নিয়ে থাকতেন ১৬ জন স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিরসরাইয়ের হাদিফকিরহাট বাজার। সড়কের পাশে ছিলো আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ৩টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও জাহাঙ্গীরের কলোনীনের ১৬ ঘর। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর দাবি, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে তেমন ক্ষতি হতো না। তবে ফায়ার সার্ভিস দাবি করছে দ্রুত ঘটনাস্থলে না গেলে, বাজারের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে চাই হয়ে যেতো।

 

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার হায়াতুন নবী জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসাকির্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাদের ২টি ও সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটিসহ মোট ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করে। আশপাশে পানির সংকট থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে বাজারের অনেক দোকান রক্ষা পেয়েছে।

 

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, বাজারের দক্ষিণ পূর্ব পাশের মো. মুন্নার একটি আইসক্রিম কারখানা, জাহাঙ্গীর আলমের স্ট্রিলের দরজা জানালা তৈরির ওয়ার্কশপ, স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী শাওনের গোডাইন, জাহাঙ্গীর মেম্বার ও আলামের ১৬টি ছোট ঘর। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ওসমান জানান, তারা ঋণ করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। আগুনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে নিঃস্ব এবং পথে বসার মতো অবস্থা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সহেযোগীতা চায় ক্ষতিগ্রস্ত এসকল ব্যবসায়ী।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মহম্মদপুরে অলৌকিকভাবে প্রাণে বাঁচলো মাটি চাপা যুবক

আগুনে পুড়ে নিঃস্ব অসহায় স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীরা, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:০৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

আগুন কেড়ে নিল চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের হাদি ফকিরহাট বাজারের স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন। বুধবার ভোররাতে আগুনে লেগে পুড়ে গেছে তাদের সবকিছু। আগুনের লেলিহান শিখায় নগদ টাকাসহ মালামাল পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। খেটে খাওয়া পরিবারগুলো মুহূর্তে নিঃস্ব হয়ে গেলে। অনেকের কাছে এখন একবেলা খাবার কিনে খাওয়ার টাকাও নেই।

 

বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোররাতে হাদি ফকিরহাট এলাকার জাহাঙ্গীরের কলোনি এ ঘটনা ঘটে। কলোনিতে অসহায় পরিবার নিয়ে থাকতেন ১৬ জন স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিরসরাইয়ের হাদিফকিরহাট বাজার। সড়কের পাশে ছিলো আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ৩টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও জাহাঙ্গীরের কলোনীনের ১৬ ঘর। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর দাবি, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে তেমন ক্ষতি হতো না। তবে ফায়ার সার্ভিস দাবি করছে দ্রুত ঘটনাস্থলে না গেলে, বাজারের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে চাই হয়ে যেতো।

 

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার হায়াতুন নবী জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসাকির্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাদের ২টি ও সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটিসহ মোট ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করে। আশপাশে পানির সংকট থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে বাজারের অনেক দোকান রক্ষা পেয়েছে।

 

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, বাজারের দক্ষিণ পূর্ব পাশের মো. মুন্নার একটি আইসক্রিম কারখানা, জাহাঙ্গীর আলমের স্ট্রিলের দরজা জানালা তৈরির ওয়ার্কশপ, স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী শাওনের গোডাইন, জাহাঙ্গীর মেম্বার ও আলামের ১৬টি ছোট ঘর। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ওসমান জানান, তারা ঋণ করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। আগুনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে নিঃস্ব এবং পথে বসার মতো অবস্থা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সহেযোগীতা চায় ক্ষতিগ্রস্ত এসকল ব্যবসায়ী।