০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​সীতাকুণ্ডে পানিতে ডুবে ৩ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। রবিবার (২২ মে) বেলা আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে পুকুরে পড়ে প্রাণ হারায় মাত্র তিন বছর বয়সী এক শিশু আহাম্মেদ নিহাল।

নিহাল দোয়ানী বাড়ির সাইদুল ইসলাম শাহিনের একমাত্র পুত্র। পরিবারের সদস্যদের সাথে নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সে। শিশুতোষ কৌতূহল নিয়ে খেলতে খেলতে একপর্যায়ে পরিবারের অগোচরে পুকুরে পড়ে যায় নিহাল। কিছু সময় পর তাকে খুঁজে না পেয়ে চারপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে বাড়ির পাশে পুকুরে তাকে পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু শোকাহত বাবা-মা তা মেনে নিতে না পেরে দ্বিতীয়বার তাকে স্থানীয় ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’-এ নিয়ে যান। সেখানেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই অকাল মৃত্যুতে গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আহাজারি করছেন বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরা। পুরো এলাকায় নেমে আসে এক নিস্তব্ধতা। নিহত শিশুটিকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, শিশু নিহাল অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও সবার আদরের ছিল। তার এই অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ। শিশুর মৃত্যু আমাদের সবাইকে আরও সচেতন করে তুলবে—বিশেষ করে বাড়ির আশপাশে পানির উৎস, যেমন পুকুর কিংবা ডোবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মহম্মদপুরে অলৌকিকভাবে প্রাণে বাঁচলো মাটি চাপা যুবক

​সীতাকুণ্ডে পানিতে ডুবে ৩ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:১৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। রবিবার (২২ মে) বেলা আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে পুকুরে পড়ে প্রাণ হারায় মাত্র তিন বছর বয়সী এক শিশু আহাম্মেদ নিহাল।

নিহাল দোয়ানী বাড়ির সাইদুল ইসলাম শাহিনের একমাত্র পুত্র। পরিবারের সদস্যদের সাথে নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সে। শিশুতোষ কৌতূহল নিয়ে খেলতে খেলতে একপর্যায়ে পরিবারের অগোচরে পুকুরে পড়ে যায় নিহাল। কিছু সময় পর তাকে খুঁজে না পেয়ে চারপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে বাড়ির পাশে পুকুরে তাকে পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু শোকাহত বাবা-মা তা মেনে নিতে না পেরে দ্বিতীয়বার তাকে স্থানীয় ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’-এ নিয়ে যান। সেখানেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই অকাল মৃত্যুতে গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আহাজারি করছেন বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরা। পুরো এলাকায় নেমে আসে এক নিস্তব্ধতা। নিহত শিশুটিকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, শিশু নিহাল অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও সবার আদরের ছিল। তার এই অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ। শিশুর মৃত্যু আমাদের সবাইকে আরও সচেতন করে তুলবে—বিশেষ করে বাড়ির আশপাশে পানির উৎস, যেমন পুকুর কিংবা ডোবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে।