০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেতাগীতে বাবার লাশ ঘরে রেখে পরীক্ষা দিতে বসলেন এক শিক্ষার্থী

  • Shuvo Howlader
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১২:১৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • 253

বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা হলে খাইরুল, পরীক্ষা শেষে দাফন

বরগুনার বেতাগীতে বাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে পরীক্ষা দিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসছে এসএসসি পরীক্ষার্থী খাইরুল বেপারী। বুধবার সকালে বাবা আমজেদ বেপারীর (৬৩) মরদেহ বাড়িতে রেখেই সে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায়। পরীক্ষা শেষ করে আছর বাদ বাবার দাফন কার্যে অংশ নেয়।
খাইরুল উপজেলার পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে খাইরুল সবার ছোট। তার বাড়ি বিবিচিনি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাগলের পাড় গ্রামে।
এলাকাবাসী জানায়, বুধবার সকালে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই খাইরুল তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে যায় বিবিচিনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে। সে ৬ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দেয়। আসর নামাজের পর তার বাবার দাফন করা হয়েছে।
খাইরুলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আমজেদ বেপারী বুধবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি। আমজেদ বেপারী পেশায় দিনমজুর ছিলেন। তার উপার্জিত অর্থ দিয়েই সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চলতো। আমজাদের মৃত্যুতে তার পরিবার অসহায়ত্বের মধ্যে পড়ে গেল।
পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে আমি খাইরুলের বাড়িতে যাই। তাকে মানসিকভাবে সান্ত্বনা দেই। পরে সে সাহস নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, খাইরুল বাবার মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। সে যেন সব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে এবং ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ-খবর রাখা হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নড়াইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু আহত দুই গৃহবধূ

বেতাগীতে বাবার লাশ ঘরে রেখে পরীক্ষা দিতে বসলেন এক শিক্ষার্থী

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:১৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা হলে খাইরুল, পরীক্ষা শেষে দাফন

বরগুনার বেতাগীতে বাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে পরীক্ষা দিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসছে এসএসসি পরীক্ষার্থী খাইরুল বেপারী। বুধবার সকালে বাবা আমজেদ বেপারীর (৬৩) মরদেহ বাড়িতে রেখেই সে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায়। পরীক্ষা শেষ করে আছর বাদ বাবার দাফন কার্যে অংশ নেয়।
খাইরুল উপজেলার পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে খাইরুল সবার ছোট। তার বাড়ি বিবিচিনি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাগলের পাড় গ্রামে।
এলাকাবাসী জানায়, বুধবার সকালে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই খাইরুল তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে যায় বিবিচিনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে। সে ৬ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দেয়। আসর নামাজের পর তার বাবার দাফন করা হয়েছে।
খাইরুলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আমজেদ বেপারী বুধবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি। আমজেদ বেপারী পেশায় দিনমজুর ছিলেন। তার উপার্জিত অর্থ দিয়েই সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চলতো। আমজাদের মৃত্যুতে তার পরিবার অসহায়ত্বের মধ্যে পড়ে গেল।
পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে আমি খাইরুলের বাড়িতে যাই। তাকে মানসিকভাবে সান্ত্বনা দেই। পরে সে সাহস নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, খাইরুল বাবার মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। সে যেন সব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে এবং ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ-খবর রাখা হবে।