০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থিয়েটার চারণিক এর আয়োজনে ঈশ্বর তুমি কোথায় এর ৫ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

রাজধানীর মিরপুর-১১ তে অবস্থিত ঋদ্ধি প্রকাশনের ঋদ্ধি গ্যালারিতে সন্ধ্যা সাতটায় থিয়েটার চারণিক এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে -“ঈশ্বর তুমি কোথায়?” নাটকের ৫ম প্রদর্শনী।  নাট্যজন জুয়েল কবিরের রচনা এবং নির্দেশনায় মঞ্চে সাফিয়া খন্দকার রেখার একক অভিনয় দেখতে ঋদ্ধি গ্যালারির দর্শক সারি ছিল পরিপূর্ণ। দর্শক ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট সংলাপ ছিল নাটকটিতে। সাফিয়া খন্দকার রেখার অনবদ্য অভিনয় গতি দর্শকদের চোখের পলক ফেলতে দেয়নি, অজান্তেই চোখের পানি ফেলেছেন অনেকেই। সেই সাথে সমান্তরাল চলে লালনের কন্ঠের সুর। ক্রমশ পটভূমি বদলাতে থাকে আর গল্পের সাথে সরাসরি মিশে যায় দর্শক ৷   নাটক শেষে লেখক ও নির্দেশক জুয়েল কবির আজকের খবরকে বলেন- জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি মেয়েদের কাছে একটি আতঙ্কের নাম। পুরো জীবনে কখনো না কখনো পুরুষের খারাপ দৃষ্টি, অযাচিত স্পর্শের বা খারাপ আচরণের সম্মুখীন হতে হয়। এ সমস্যা কেবল বাংলাদেশের নয়, এ সমস্যা বৈশ্বিক। এ নাটকের বিষয়বস্তু একজন নারীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি হয়ে ওঠে বিশ্বের সকল সচেতন নারী , তদুপরি মানুষের সাহসী বয়ান। এ নাটকের ঘটনা মূলত এক রোহিঙ্গা মেয়ের জীবন নিয়ে লেখা। যার মন এবং মননে মিয়ানমার আর আরাকানের দুঃস্বপ্ন।‌ চারটা দেশকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এ নাটকের গল্প, অথচ নারীর গল্প পাল্টায় না। নারীর দেহ ভোগাকাঙ্খী মানুষেরা শেষ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায় দেশ কাল এমনকি ধর্মের সীমানা। এটাই তুলে ধরা হয়েছে “ঈশ্বর তুমি কোথায়” নাটকে।  আমি মনে করি প্রত্যেকটা মানুষের এ নাটক দেখা উচিত, যাতে করে নারী বিষয়ক নষ্ট ভাবনার কারণে তাদের মনে অনুতাপ আসে, যেন পুরুষ তাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে আরো বলীয়ান হয়।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নড়াইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু আহত দুই গৃহবধূ

থিয়েটার চারণিক এর আয়োজনে ঈশ্বর তুমি কোথায় এর ৫ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৩৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর মিরপুর-১১ তে অবস্থিত ঋদ্ধি প্রকাশনের ঋদ্ধি গ্যালারিতে সন্ধ্যা সাতটায় থিয়েটার চারণিক এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে -“ঈশ্বর তুমি কোথায়?” নাটকের ৫ম প্রদর্শনী।  নাট্যজন জুয়েল কবিরের রচনা এবং নির্দেশনায় মঞ্চে সাফিয়া খন্দকার রেখার একক অভিনয় দেখতে ঋদ্ধি গ্যালারির দর্শক সারি ছিল পরিপূর্ণ। দর্শক ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট সংলাপ ছিল নাটকটিতে। সাফিয়া খন্দকার রেখার অনবদ্য অভিনয় গতি দর্শকদের চোখের পলক ফেলতে দেয়নি, অজান্তেই চোখের পানি ফেলেছেন অনেকেই। সেই সাথে সমান্তরাল চলে লালনের কন্ঠের সুর। ক্রমশ পটভূমি বদলাতে থাকে আর গল্পের সাথে সরাসরি মিশে যায় দর্শক ৷   নাটক শেষে লেখক ও নির্দেশক জুয়েল কবির আজকের খবরকে বলেন- জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি মেয়েদের কাছে একটি আতঙ্কের নাম। পুরো জীবনে কখনো না কখনো পুরুষের খারাপ দৃষ্টি, অযাচিত স্পর্শের বা খারাপ আচরণের সম্মুখীন হতে হয়। এ সমস্যা কেবল বাংলাদেশের নয়, এ সমস্যা বৈশ্বিক। এ নাটকের বিষয়বস্তু একজন নারীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি হয়ে ওঠে বিশ্বের সকল সচেতন নারী , তদুপরি মানুষের সাহসী বয়ান। এ নাটকের ঘটনা মূলত এক রোহিঙ্গা মেয়ের জীবন নিয়ে লেখা। যার মন এবং মননে মিয়ানমার আর আরাকানের দুঃস্বপ্ন।‌ চারটা দেশকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এ নাটকের গল্প, অথচ নারীর গল্প পাল্টায় না। নারীর দেহ ভোগাকাঙ্খী মানুষেরা শেষ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায় দেশ কাল এমনকি ধর্মের সীমানা। এটাই তুলে ধরা হয়েছে “ঈশ্বর তুমি কোথায়” নাটকে।  আমি মনে করি প্রত্যেকটা মানুষের এ নাটক দেখা উচিত, যাতে করে নারী বিষয়ক নষ্ট ভাবনার কারণে তাদের মনে অনুতাপ আসে, যেন পুরুষ তাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে আরো বলীয়ান হয়।