০৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে স্বল্প খরচে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে ভাসমান হাসপাতাল

  • Nasir Mahmud
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৪:৫৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 50

‎রাজবাড়ীতে নদীপাড়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে ইম্প্যাক্ট ‘জীবন তরী’ ভাসমান হাসপাতাল। পদ্মা নদীতে নোঙর করা তিনতলা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০ জন রোগী এখানে সেবা নিচ্ছেন।

‎১৯৯৯ সালে ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করা এই ভাসমান হাসপাতালটি ৫০টি জেলায় সেবা দিয়েছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাজবাড়ীর মিজানপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দর মৌলভীঘাট এলাকায় অবস্থান নেয় এবং ১৮ জানুয়ারি থেকে রোগী দেখার কার্যক্রম শুরু করে। মাত্র ৫০ টাকায় রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন।

‎হাসপাতালটিতে চোখ, নাক-কান-গলা, জন্মগত ত্রুটি এবং অর্থোপেডিক সমস্যার চিকিৎসা ও সার্জারি করা হচ্ছে। রয়েছে ১২ শয্যার সুবিধা, তিনজন চিকিৎসক ও ৩০ জনের একটি টিম সার্বক্ষণিক সেবা দিচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

‎হাসপাতালের প্রশাসক এ কে এম শহিদুল হক জানান, শুরুতে কম রোগী এলেও এখন প্রতিদিন শতাধিক রোগী সেবা নিচ্ছেন। চলতি মাসে ৮৫ জন রোগীর সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিদিন নতুন সার্জারির তারিখ নির্ধারণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “নদীপাড়ের দরিদ্র মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে উন্নত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

লাম্পিতে বিপর্যস্ত খামারিরা

রাজবাড়ীতে স্বল্প খরচে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে ভাসমান হাসপাতাল

পোস্ট হয়েছেঃ ০৪:৫৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

‎রাজবাড়ীতে নদীপাড়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে ইম্প্যাক্ট ‘জীবন তরী’ ভাসমান হাসপাতাল। পদ্মা নদীতে নোঙর করা তিনতলা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০ জন রোগী এখানে সেবা নিচ্ছেন।

‎১৯৯৯ সালে ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করা এই ভাসমান হাসপাতালটি ৫০টি জেলায় সেবা দিয়েছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাজবাড়ীর মিজানপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দর মৌলভীঘাট এলাকায় অবস্থান নেয় এবং ১৮ জানুয়ারি থেকে রোগী দেখার কার্যক্রম শুরু করে। মাত্র ৫০ টাকায় রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন।

‎হাসপাতালটিতে চোখ, নাক-কান-গলা, জন্মগত ত্রুটি এবং অর্থোপেডিক সমস্যার চিকিৎসা ও সার্জারি করা হচ্ছে। রয়েছে ১২ শয্যার সুবিধা, তিনজন চিকিৎসক ও ৩০ জনের একটি টিম সার্বক্ষণিক সেবা দিচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

‎হাসপাতালের প্রশাসক এ কে এম শহিদুল হক জানান, শুরুতে কম রোগী এলেও এখন প্রতিদিন শতাধিক রোগী সেবা নিচ্ছেন। চলতি মাসে ৮৫ জন রোগীর সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিদিন নতুন সার্জারির তারিখ নির্ধারণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “নদীপাড়ের দরিদ্র মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে উন্নত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”