
চট্টগ্রামের পটিয়ার পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছে ৭ শিক্ষার্থী। পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা প্রত্যেকের পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলে—“থানায় জানালে, সন্ধ্যায় লাশ নিয়া যাইস।” এই ভয়ঙ্কর হুমকির পর হতভাগ্য পরিবারগুলো কাঁদতে কাঁদতে জোগাড় করে দেয় ৩ লাখ টাকা। মুক্তিপনের বিনিময়ে রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিলে তারা বাড়িতে ফিরে আসে। জানা যায়, বুধবার সকালে পটিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৭ শিক্ষার্থী বিনোদন স্পট ‘বুদবুদি ছড়া’ দেখতে যায়। সকাল ১১টার মধ্যে তাদের পরিবারের কাছে ফোন আসে—“জীবিত পেতে চাইলে মুক্তিপণ পাঠাও।” অপহৃতরা হলেন—পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের শফিউল আলমের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম, হাইদগাঁও গ্রামের মো. ইলিয়াসের ছেলে ছাগিল, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের কামরুল ইসলামের ছেলে মীর সামিদ, বড়লিয়া ইউনিয়নের আহমদ নূরের ছেলে আশরাফুর রহমান খোকা, পটিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জোবাইদুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল আহমদের ছেলে ফয়সাল আহমদ এবং একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহেদ মিয়া। অপহৃত সকলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে অপহৃতদের পরিবার বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ পাঠায়। এরপর সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদেরকে হাইদগাঁও পাহাড়ে ছেড়ে দেয়। ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী বলেন, “থানায় জানানো হলেও সক্রিয়তা দেখা যায়নি। পরিবারেরাই নিজের টাকায় সন্তান ফিরিয়ে এনেছে।” এই ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও পাহাড়ে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।