
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানকাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে নতুন ধানের ভাল দামও রয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এমন দাম থাকলেও লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা। শস্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের ৯ উপজেলায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদ হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বছরজুড়ে সিরাজগঞ্জ সদর, তাড়াশ, কাজিপুর, রায়গঞ্জ এবং উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও কামারখন্দ উপজেলার অনেক এলাকার মাঠে উন্নত জাতের ধান চাষাবাদ হয়। ফলনও হয় বেশ ভাল। এরমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া উপজেলার মাঠে মাঠে আগাম জাতের পাকা ধান কাটা পুরোদমে শুরু করেছে কৃষকরা। তাপমাত্রা বেশি থাকায় মাঠের ধান অনেক আগেই পেকেছে। এখন চলছে ধানকেটে মাড়াই করে ঘরে তোলার কর্মযজ্ঞ। তবে অতিরিক্ত তাপদাহে ধানকাটার শ্রমিক সংকট দেখা দেখা দেয়নি এখনো এলাকায়। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি মৌসুমে ১লাখ ৪১হাজার ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ ও রাসায়নিক সার দেয়া হয়। এতে চাষাবাদের পরিধিও বেড়েছে। বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার চাষাবাদের খরচ কম ও সহজ করেছে। এতে কম খরচে কৃষকরা লাভবান হতে পারছে। সদর উপজেলা ছোনগাছা ইউনিয়নেট চর বালিঘুগরী গ্রামের মুকুল হোসেন জানায়, তিনি এবার ৮ বিঘা জমিতে২৮ ও কাঁটারী ভোগধাম লাগিয়েছেন। হার্ভেস্টার মেশিনের সাহায্য সেই ধান কাটছেন।