০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবিপ্রবিতে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে এসিসিই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ৬০ দিনে পা, অনিশ্চয়তায় একাডেমিক ভবিষ্যৎ

  • MD Tariqur Rahman Rezuan
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৫৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • 63
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ACCE) বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে টানা ৬০ দিন ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মতে, বর্তমান ডিগ্রির শিরোনাম ‘BSc Honours/MSc Honours’ হওয়ায় তারা চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, বিভাগে ‘BSc/MSC Engineering in Applied Chemistry and Chemical Engineering’ ডিগ্রি চালু করতে হবে, যা বর্তমানে শুধুমাত্র ‘Honours/Masters’ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং বিভাগ থেকেও প্রশাসনের প্রতি ডিগ্রি পরিবর্তনের সুপারিশ জমা দেওয়া হয়। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা জানান, বারবার আশ্বাস দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু দীর্ঘসূত্রিতা এবং অনীহারই পরিচয় মিলেছে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি বাস্তব ও যৌক্তিক। করোনা, আন্দোলন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের শিক্ষাজীবন ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত। তাই দ্রুত সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।” ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের বিভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির অন্তর্ভুক্ত, আমাদের কারিকুলাম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতোই। অথচ ডিগ্রি ‘অনার্স’ হওয়ায় আমরা পেশাগতভাবে বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা চাই, কাঠামোগত পরিবর্তন এনে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিশ্চিত করা হোক।” নবীন শিক্ষার্থীরাও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ভর্তি হওয়ার সময় ওয়েবসাইটে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির কথা বলা হলেও বাস্তবে তা অনুপস্থিত। তাদের মতে, এই বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা শিক্ষাজীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: আশরাফুল আলম জানান, “প্রশাসনের চাওয়া অনুযায়ী সংশোধিত কারিকুলাম প্রস্তুত করে জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।” উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, “ডিগ্রি পরিবর্তনের জন্য কারিকুলামে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন, সে অনুযায়ী একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। একাডেমিক কাউন্সিলে এ বিষয়ে আলোচনা হবে এবং ইউজিসির সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।” শিক্ষার্থীরা দ্রুত সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনে ফেরার সুযোগ চেয়ে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মধ্যনগর বাজারে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি নজরদারি শুরু

নোবিপ্রবিতে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে এসিসিই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ৬০ দিনে পা, অনিশ্চয়তায় একাডেমিক ভবিষ্যৎ

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৫৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ACCE) বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে টানা ৬০ দিন ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মতে, বর্তমান ডিগ্রির শিরোনাম ‘BSc Honours/MSc Honours’ হওয়ায় তারা চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, বিভাগে ‘BSc/MSC Engineering in Applied Chemistry and Chemical Engineering’ ডিগ্রি চালু করতে হবে, যা বর্তমানে শুধুমাত্র ‘Honours/Masters’ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং বিভাগ থেকেও প্রশাসনের প্রতি ডিগ্রি পরিবর্তনের সুপারিশ জমা দেওয়া হয়। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা জানান, বারবার আশ্বাস দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু দীর্ঘসূত্রিতা এবং অনীহারই পরিচয় মিলেছে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি বাস্তব ও যৌক্তিক। করোনা, আন্দোলন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের শিক্ষাজীবন ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত। তাই দ্রুত সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।” ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের বিভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির অন্তর্ভুক্ত, আমাদের কারিকুলাম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতোই। অথচ ডিগ্রি ‘অনার্স’ হওয়ায় আমরা পেশাগতভাবে বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা চাই, কাঠামোগত পরিবর্তন এনে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিশ্চিত করা হোক।” নবীন শিক্ষার্থীরাও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ভর্তি হওয়ার সময় ওয়েবসাইটে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির কথা বলা হলেও বাস্তবে তা অনুপস্থিত। তাদের মতে, এই বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা শিক্ষাজীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: আশরাফুল আলম জানান, “প্রশাসনের চাওয়া অনুযায়ী সংশোধিত কারিকুলাম প্রস্তুত করে জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।” উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, “ডিগ্রি পরিবর্তনের জন্য কারিকুলামে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন, সে অনুযায়ী একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। একাডেমিক কাউন্সিলে এ বিষয়ে আলোচনা হবে এবং ইউজিসির সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।” শিক্ষার্থীরা দ্রুত সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনে ফেরার সুযোগ চেয়ে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।