০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন করে শশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের মিল্কিপাড়া এলাকার দুলাল শেখের ছেলে মো. সাব্বির শেখের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের পশ্চিম কাজি কসবা গ্রামের মো. মুজাহিদ এর মেয়ে সুরভী আক্তার সুমির সাথে। বিয়ের পর কিছুদিন ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পরেই শশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন অজুহাতে যৌতুকের দাবি করতে থাকে। মামলা ও সুমির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের সময় যৌতুকের কোনো চাহিদা না থাকলেও বিয়ের কয়েক মাস পরেই বিভিন্ন বাহানায় যৌতুকের দাবি করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে মেয়ের সংসার বাঁচাতে সুমির মা তার সাধ্য অনুযায়ী টাকা পয়সা দিয়ে আসছিলেন কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হয়নি সুমির শশুর বাড়ির লোকজন। তাদের দাবি মোটা অংকের অর্থ। সুমির দেবরকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক লাখ টাকা দাবি করলে সেখানে ১লাখ ৫০হাজার টাকা দেয় সুমির পরিবার। এরপরেও যখন তারা আবার সুমির স্বামীকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা দাবি করে তখন সুমির পরিবার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সুমিকে রাতের আঁধারে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন সুমি তার সন্তানকে নিয়ে নানার বাড়ি এসে আশ্রয় ন্যায়। পরে সুমি বাদি হয়ে মুন্সীগঞ্জ আদালতে একটি যৌতুকের মামলা করে। যাহার সি আর মামলা নং ৩৯৪/২০২৫। মামলার খবর পেয়ে আসামিরা সুমির নানার বাড়িতে এসে ৫লাখ টাকা দাবি করে এবং সুমিকে মারধর করে পালিয়ে যায়। মারধরের ঘটনায় সুমি পুনরায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলা ডায়েরি করে সুমি তার শিশু পুত্র সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের নিচে যাওয়ার পর সুমির শশুর মো. দুলাল শেখ সহ অজ্ঞাতনামা  ৪/৫ জন সুমিকে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে কোল থেকে তার শিশু পুত্রকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। সুরভী আক্তার সুমি জানান, আমার বিয়ের কয়েক মাস পরে শশুর শাশুড়ি নানান ভাবে যৌতুক দাবি করেন। আমার দেবর বিদেশ যায় তখন আমার আম্মু তাদেরকে দের লক্ষ টাকা দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন জিনিস চাহিদা করে নিয়ে যায়। এখন আবার আমার স্বামীকে বিদেশে পাঠানোর নামে ৫লক্ষ টাকা চায়। আমার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে মারধর করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিবেনা। আমি মামলা করতে আদালতে গেলে সেখানে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং আমার বাচ্চাকে ছিনাইয়া নিয়া যায়। সুমির মামা মাসুদ রানা বলেন, আমার ভাগ্নি সুমির বিয়ের পরেই তার শশুর বাড়ী থেকে যৌতুকের দাবি করতে থাকে। তাদের দাবি মিটাতে আমার বোন তাদেরকে ১লাখ ৫০হাজার টাকা দেয়। কিন্তু এরপরও সুমির পরিবারের কাছে আরো ৫লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সেটা দিতে না পারায় সুমিকে মারধর করে রাত ১০টায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি চাই আমার ভাগ্নি সুমি সহ যাদের সাথে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করা হয় তাদেরকে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গ্রাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাণীনগরের তরিকুল ইসলাম

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন করে শশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:০১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের মিল্কিপাড়া এলাকার দুলাল শেখের ছেলে মো. সাব্বির শেখের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের পশ্চিম কাজি কসবা গ্রামের মো. মুজাহিদ এর মেয়ে সুরভী আক্তার সুমির সাথে। বিয়ের পর কিছুদিন ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পরেই শশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন অজুহাতে যৌতুকের দাবি করতে থাকে। মামলা ও সুমির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের সময় যৌতুকের কোনো চাহিদা না থাকলেও বিয়ের কয়েক মাস পরেই বিভিন্ন বাহানায় যৌতুকের দাবি করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে মেয়ের সংসার বাঁচাতে সুমির মা তার সাধ্য অনুযায়ী টাকা পয়সা দিয়ে আসছিলেন কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হয়নি সুমির শশুর বাড়ির লোকজন। তাদের দাবি মোটা অংকের অর্থ। সুমির দেবরকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক লাখ টাকা দাবি করলে সেখানে ১লাখ ৫০হাজার টাকা দেয় সুমির পরিবার। এরপরেও যখন তারা আবার সুমির স্বামীকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা দাবি করে তখন সুমির পরিবার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সুমিকে রাতের আঁধারে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন সুমি তার সন্তানকে নিয়ে নানার বাড়ি এসে আশ্রয় ন্যায়। পরে সুমি বাদি হয়ে মুন্সীগঞ্জ আদালতে একটি যৌতুকের মামলা করে। যাহার সি আর মামলা নং ৩৯৪/২০২৫। মামলার খবর পেয়ে আসামিরা সুমির নানার বাড়িতে এসে ৫লাখ টাকা দাবি করে এবং সুমিকে মারধর করে পালিয়ে যায়। মারধরের ঘটনায় সুমি পুনরায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলা ডায়েরি করে সুমি তার শিশু পুত্র সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের নিচে যাওয়ার পর সুমির শশুর মো. দুলাল শেখ সহ অজ্ঞাতনামা  ৪/৫ জন সুমিকে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে কোল থেকে তার শিশু পুত্রকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। সুরভী আক্তার সুমি জানান, আমার বিয়ের কয়েক মাস পরে শশুর শাশুড়ি নানান ভাবে যৌতুক দাবি করেন। আমার দেবর বিদেশ যায় তখন আমার আম্মু তাদেরকে দের লক্ষ টাকা দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন জিনিস চাহিদা করে নিয়ে যায়। এখন আবার আমার স্বামীকে বিদেশে পাঠানোর নামে ৫লক্ষ টাকা চায়। আমার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে মারধর করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিবেনা। আমি মামলা করতে আদালতে গেলে সেখানে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং আমার বাচ্চাকে ছিনাইয়া নিয়া যায়। সুমির মামা মাসুদ রানা বলেন, আমার ভাগ্নি সুমির বিয়ের পরেই তার শশুর বাড়ী থেকে যৌতুকের দাবি করতে থাকে। তাদের দাবি মিটাতে আমার বোন তাদেরকে ১লাখ ৫০হাজার টাকা দেয়। কিন্তু এরপরও সুমির পরিবারের কাছে আরো ৫লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সেটা দিতে না পারায় সুমিকে মারধর করে রাত ১০টায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি চাই আমার ভাগ্নি সুমি সহ যাদের সাথে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করা হয় তাদেরকে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।