০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান রুপসা উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা টুলু মিয়া, আটকের দাবি

  • Shimul Bagerhat
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৫১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • 6
খুলনার রুপসা উপজেলা শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব টুলু মিয়া প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান। বিগত সরকারের আমলে বিএনপি জামায়াত নির্যাতনের মাস্টারমাইন্ড এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর নির্যাতনকারী টুলু মিয়া প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, চালিয়ে যাচ্ছে তার ব্যবসা। ইতিমধ্যে হুমকি ধামকিও দিয়েছে কয়েকজন বিএনপি নেতা কর্মীকে। এখনো তার ভয়ে অভিযোগ দিতে সাহস পায় না অনেকে। রুপসা উপজেলার ত্রাস এস এম নুর মোহাম্মদ ওরফে টুলু মিয়া গোপালগঞ্জ টুঙ্গীপাড়ার গোপেরডাঙ্গা এলাকার আকবর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শেখ পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ টুলু মিয়া ছিলেন একজন চাঁদাবাজ টেন্ডারবাজ ও সন্ত্রাসী। বিগত সরকারের নেতাকর্মী খুলনা রুপসা থেকে পালায়ন করলেও টুলু মিয়া পালিয়ে যাননি। সে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে তার ব্যবসা।  বিগত সরকারের আমলে রুপসা উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা, রূপসা ঘাট ও তার আশেপাশের এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা গ্রহণ করতেন তিনি। সম্পৃক্ত ছিলেন টেন্ডারবাজীর সাথে। এখনো বন্ধ হয়নি তার টেন্ডার ও চাঁদার বাণিজ্য। ব্যবসায়ীরা চাঁদা না দিলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদেরকেও।
গত ২২ মার্চ রুপসা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়। বাগেরহাটের নওয়াপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ৭ মার্চ জেল হাজতে দিলেও কয়েক দিনের মধ্যে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে মামলার বাদিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। রুপসা বাগমারা ফকিরহাট কাটাখালি নওয়াপাড়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ক্যাডার ও তার বাহিনী নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান তিনি। প্রশাসন দেখেও দেখছে না। ওইসব এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টাও চালিয়েছেন তিনি। তার কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
টুলু মিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে রেলওয়ের জমি দখলে নিয়েছে, ব্যবসায়িক পার্টনারদের বঞ্চিত করেছে। নিজের কর্মচারীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। ভোলা পটুয়াখালী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের খুলনা রুপসা এলাকায় তার লোকজন দিয়ে মারপিট করে টাকা পয়সা কেড়ে রেখে তাড়িয়ে দেওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একাধিক মামলার আসামি টুলু মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে চারটি বিয়ে করেছে বলেও শোনা যায়। শেখ সোহেলের বিশ্বস্ত ক্যাডার হওয়ায় তার অপরাধ রুখতে ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। এখনো প্রশাসনের নাকের ডগায় চালিয়ে যাচ্ছে তার এসব অপকর্ম।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফকিরহাট এলাকায় অবৈধ মাছের পোনার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শ্রমিক লীগ নেতা টুলু মিয়া। তাছাড়া তার ট্রাকে করে ভারতীয় শাড়ি পাচার অব্যাহত রেখেছে সে। আর এসব ব্যবসার মধ্যে রয়েছে মাদকের ব্যবসা। সেই সাথে শেখ পরিবারের ব্যবসা বাণিজ্য দেখাশোনা করছেন তিনি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে এই ডেভিল। দ্রুত তাকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

দামুড়হুদায় স্কুলছাত্র হত্যা – আসামীদের ফাঁসির দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানব বন্ধন

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান রুপসা উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা টুলু মিয়া, আটকের দাবি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৫১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
খুলনার রুপসা উপজেলা শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব টুলু মিয়া প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান। বিগত সরকারের আমলে বিএনপি জামায়াত নির্যাতনের মাস্টারমাইন্ড এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর নির্যাতনকারী টুলু মিয়া প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, চালিয়ে যাচ্ছে তার ব্যবসা। ইতিমধ্যে হুমকি ধামকিও দিয়েছে কয়েকজন বিএনপি নেতা কর্মীকে। এখনো তার ভয়ে অভিযোগ দিতে সাহস পায় না অনেকে। রুপসা উপজেলার ত্রাস এস এম নুর মোহাম্মদ ওরফে টুলু মিয়া গোপালগঞ্জ টুঙ্গীপাড়ার গোপেরডাঙ্গা এলাকার আকবর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শেখ পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ টুলু মিয়া ছিলেন একজন চাঁদাবাজ টেন্ডারবাজ ও সন্ত্রাসী। বিগত সরকারের নেতাকর্মী খুলনা রুপসা থেকে পালায়ন করলেও টুলু মিয়া পালিয়ে যাননি। সে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে তার ব্যবসা।  বিগত সরকারের আমলে রুপসা উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা, রূপসা ঘাট ও তার আশেপাশের এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা গ্রহণ করতেন তিনি। সম্পৃক্ত ছিলেন টেন্ডারবাজীর সাথে। এখনো বন্ধ হয়নি তার টেন্ডার ও চাঁদার বাণিজ্য। ব্যবসায়ীরা চাঁদা না দিলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদেরকেও।
গত ২২ মার্চ রুপসা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়। বাগেরহাটের নওয়াপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ৭ মার্চ জেল হাজতে দিলেও কয়েক দিনের মধ্যে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে মামলার বাদিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। রুপসা বাগমারা ফকিরহাট কাটাখালি নওয়াপাড়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ক্যাডার ও তার বাহিনী নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান তিনি। প্রশাসন দেখেও দেখছে না। ওইসব এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টাও চালিয়েছেন তিনি। তার কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
টুলু মিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে রেলওয়ের জমি দখলে নিয়েছে, ব্যবসায়িক পার্টনারদের বঞ্চিত করেছে। নিজের কর্মচারীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। ভোলা পটুয়াখালী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের খুলনা রুপসা এলাকায় তার লোকজন দিয়ে মারপিট করে টাকা পয়সা কেড়ে রেখে তাড়িয়ে দেওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একাধিক মামলার আসামি টুলু মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে চারটি বিয়ে করেছে বলেও শোনা যায়। শেখ সোহেলের বিশ্বস্ত ক্যাডার হওয়ায় তার অপরাধ রুখতে ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। এখনো প্রশাসনের নাকের ডগায় চালিয়ে যাচ্ছে তার এসব অপকর্ম।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফকিরহাট এলাকায় অবৈধ মাছের পোনার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শ্রমিক লীগ নেতা টুলু মিয়া। তাছাড়া তার ট্রাকে করে ভারতীয় শাড়ি পাচার অব্যাহত রেখেছে সে। আর এসব ব্যবসার মধ্যে রয়েছে মাদকের ব্যবসা। সেই সাথে শেখ পরিবারের ব্যবসা বাণিজ্য দেখাশোনা করছেন তিনি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে এই ডেভিল। দ্রুত তাকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।