০৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে গলায় ফাঁস দেয়া দু-জনের মরদেহ উদ্ধার

 সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পৃথক ঘটনায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় মো. সুমন মিয়া (১৮) নামের এক যুবক ও মোছাঃ আজেনা বেগমের (৩৫)  নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. সুমন মিয়া উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের কিসামত সর্বানন্দ গ্রামের মৃত মো. আলম মিয়ার ছেলে ও মোছাঃ আজেনা বেগম উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গেন্দুরাম গ্রামের মো. ফুল মিয়ার স্ত্রী।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘যুবক মো. সুমন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে স্বজনদের কোনো আপত্তি না থাকায় গৃহবধূ মোছাঃ আজেনা বেগমের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মো. সুমন মিয়া প্রত্যেক রাতের ন্যায় গত রোববার রাতে ঘুমিয়ে পড়েন নিজ শয়ন ঘরে। পরদিন সকালে তাঁকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। এরই এক পর্যায়ে প্রতিবেশী জনৈক মো. আনোয়ার হোসেনের ধান ক্ষেতে থাকা সেচপাম্পের ঘরে তাঁর মরদেহ ঝুলতে দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন। এ সময় সুমন মিয়ার মরদেহ ওই ঘরের ভেতরে বাঁশের ধরণার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থাশ ঝুলছিলো।
অন্যদিকে প্রত্যেক দিনের ন্যায় রাতে ঘুমের যান মোছাঃ আজেনা বেগম। পরদিন সকালে তাঁকে দেখতে না পেয়ে তাঁর ঘরে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। শয়ন ঘরের ধর্ণার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছিলো তার মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করেন।
মোছাঃ আজেনা বেগম শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক অশান্তির কারণে নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা এলাকাবাসীর।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

সুন্দরগঞ্জে গলায় ফাঁস দেয়া দু-জনের মরদেহ উদ্ধার

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
 সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পৃথক ঘটনায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় মো. সুমন মিয়া (১৮) নামের এক যুবক ও মোছাঃ আজেনা বেগমের (৩৫)  নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. সুমন মিয়া উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের কিসামত সর্বানন্দ গ্রামের মৃত মো. আলম মিয়ার ছেলে ও মোছাঃ আজেনা বেগম উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গেন্দুরাম গ্রামের মো. ফুল মিয়ার স্ত্রী।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘যুবক মো. সুমন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে স্বজনদের কোনো আপত্তি না থাকায় গৃহবধূ মোছাঃ আজেনা বেগমের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মো. সুমন মিয়া প্রত্যেক রাতের ন্যায় গত রোববার রাতে ঘুমিয়ে পড়েন নিজ শয়ন ঘরে। পরদিন সকালে তাঁকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। এরই এক পর্যায়ে প্রতিবেশী জনৈক মো. আনোয়ার হোসেনের ধান ক্ষেতে থাকা সেচপাম্পের ঘরে তাঁর মরদেহ ঝুলতে দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন। এ সময় সুমন মিয়ার মরদেহ ওই ঘরের ভেতরে বাঁশের ধরণার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থাশ ঝুলছিলো।
অন্যদিকে প্রত্যেক দিনের ন্যায় রাতে ঘুমের যান মোছাঃ আজেনা বেগম। পরদিন সকালে তাঁকে দেখতে না পেয়ে তাঁর ঘরে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। শয়ন ঘরের ধর্ণার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছিলো তার মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করেন।
মোছাঃ আজেনা বেগম শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক অশান্তির কারণে নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা এলাকাবাসীর।