
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান। তিনি লালমনিরহাট পৌরসভার সাধুটারী এলাকার বাসিন্দা এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের বিএনপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগের দিন (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কয়েকজন ব্যক্তি খলিলুরের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখান। ভোটকেন্দ্রে গেলে ‘লাশ হয়ে ফিরতে হবে’ বলেও হুমকি দেন তারা।পরদিন নির্বাচনের দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরের ‘নির্দেশে’ কয়েকজন তাকে ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিয়ে মারধর করেন ও গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
মামলায় আরও বলা হয়, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মামলার সাহস পাননি বলেও উল্লেখ করেন বাদী।
খলিলুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগের সহযোগী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সেই সময় আমাকে ভয়ভীতি ও মারধরের নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
এ মামলায় জি এম কাদের, শেরিফা কাদের, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জাহিদ হাসানসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মো. নূরনবী বলেন, “মারধর, জখম, হত্যাচেষ্টা, হুমকি ও হুকুমদানের অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”