০২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাজৈর উপজেলায় সোলার প্যানেল গুলো

  • Alam Mr
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩৯:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • 21
এক সময়ে ভরা যৌবনের শক্তি উদ্দিপনা ও দুরুন্তপনায় উপজেলা দাপিয়ে বেড়ানো সোলার প্যানেল গুলো এখন কেবলই দাঁড়িয়ে আছে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে।
এটা কোন রুপকথার গল্প নয় এটাই বাস্তব এবং দৃশ্যমান সত্য। এটা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলায় ২০১৩ সনে তিন কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মেঘা সোলার প্রজেক্ট।
সারা বাংলাদেশে যখন বিদ্যুতের লোড সেডিং এর ভয়াবহতায় অতিষ্ঠ জনজীবন। সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল হাজার হাজার সাধারন জনগন। ঠিক তখনই বিদ্যুৎ এর ঘাটতি পুরন করতে তৎকালিন সরকার হাতে নেয় রাজৈর উপজেলার জন্য সোলারের এই মেঘা প্রজেক্ট। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি।
২০১৩ সালেই ৭২ টি বড় ব্যাটারির সমন্বয়ে উপজেলা পুরানো ভবনের ছাদে বসানো হয় এই সোলার প্যানেলটি। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর গুলো। দাপ্তরিক কাজে প্রাণ ফিরে পায় উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ বছর ওটা দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি।
এরপর তারা এটি হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসনের কাছে। এরপর যখন বিদ্যুতের লোডশেডিং কমে আসতে শুরু করে তখন থেকেই এই প্রজেক্টস এর গুরুত্ব কমতে থাকে রক্ষণাবেক্ষণেও অনিহা  দেখা দেয়। একের পর এক ব্যাটারি নষ্ট হতে হতে আরো দুই বছর আগেই পুরা ৭২ টা ব্যাটারি ই অকেজো হয়ে যায়। এতে উপজেলা প্রশাসন কিংবা সুবিধা ভোগি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী কাহারো কোন মাথা ব্যাথা দেখা দেয় নেই, কারন তাহারা নিরোবিছন্ন  বিদ্যুৎ তো পাচ্ছেই। প্রশাসনের এহেন ব্যাবহারের কারনে সরকারী কোষাগারের কোটি কোটি টাকাই শুধু নয়, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশের বড় বড় মেঘা প্রজেক্টস গুলো। তাই বর্তমানে পরিশোধিত, পরিমার্জিত, পরিবর্তীত নতুন বাংলাদেশের প্রশাসনের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে না পারলে বড় বড় মেঘা প্রজেক্ট থেকে দৃষ্টি সড়ে যাতে পারে দাতা দেশ গুলোর। সাধারন জনগন এখনও একটি আশা বুকে লালন ও ধারন করে বেড়ায় যদি দেশের সমস্ত প্রশাসন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব স্ব স্ব ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে অর্পণ  করে তাহলে বাংলাদেশ এই সোলার প্যানেলের ন্যায় মুখ থুবরে নয় বরং ভেসে যাবে উন্নয়নের জোয়ারে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাজৈর উপজেলায় সোলার প্যানেল গুলো

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩৯:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
এক সময়ে ভরা যৌবনের শক্তি উদ্দিপনা ও দুরুন্তপনায় উপজেলা দাপিয়ে বেড়ানো সোলার প্যানেল গুলো এখন কেবলই দাঁড়িয়ে আছে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে।
এটা কোন রুপকথার গল্প নয় এটাই বাস্তব এবং দৃশ্যমান সত্য। এটা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলায় ২০১৩ সনে তিন কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মেঘা সোলার প্রজেক্ট।
সারা বাংলাদেশে যখন বিদ্যুতের লোড সেডিং এর ভয়াবহতায় অতিষ্ঠ জনজীবন। সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল হাজার হাজার সাধারন জনগন। ঠিক তখনই বিদ্যুৎ এর ঘাটতি পুরন করতে তৎকালিন সরকার হাতে নেয় রাজৈর উপজেলার জন্য সোলারের এই মেঘা প্রজেক্ট। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি।
২০১৩ সালেই ৭২ টি বড় ব্যাটারির সমন্বয়ে উপজেলা পুরানো ভবনের ছাদে বসানো হয় এই সোলার প্যানেলটি। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর গুলো। দাপ্তরিক কাজে প্রাণ ফিরে পায় উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ বছর ওটা দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি।
এরপর তারা এটি হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসনের কাছে। এরপর যখন বিদ্যুতের লোডশেডিং কমে আসতে শুরু করে তখন থেকেই এই প্রজেক্টস এর গুরুত্ব কমতে থাকে রক্ষণাবেক্ষণেও অনিহা  দেখা দেয়। একের পর এক ব্যাটারি নষ্ট হতে হতে আরো দুই বছর আগেই পুরা ৭২ টা ব্যাটারি ই অকেজো হয়ে যায়। এতে উপজেলা প্রশাসন কিংবা সুবিধা ভোগি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী কাহারো কোন মাথা ব্যাথা দেখা দেয় নেই, কারন তাহারা নিরোবিছন্ন  বিদ্যুৎ তো পাচ্ছেই। প্রশাসনের এহেন ব্যাবহারের কারনে সরকারী কোষাগারের কোটি কোটি টাকাই শুধু নয়, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশের বড় বড় মেঘা প্রজেক্টস গুলো। তাই বর্তমানে পরিশোধিত, পরিমার্জিত, পরিবর্তীত নতুন বাংলাদেশের প্রশাসনের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে না পারলে বড় বড় মেঘা প্রজেক্ট থেকে দৃষ্টি সড়ে যাতে পারে দাতা দেশ গুলোর। সাধারন জনগন এখনও একটি আশা বুকে লালন ও ধারন করে বেড়ায় যদি দেশের সমস্ত প্রশাসন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব স্ব স্ব ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে অর্পণ  করে তাহলে বাংলাদেশ এই সোলার প্যানেলের ন্যায় মুখ থুবরে নয় বরং ভেসে যাবে উন্নয়নের জোয়ারে।