০১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষতি পেষাতে সরকারী সহযোগিতা চান ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা

  • Sarif Hossain
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • 32

সম্প্রতি সরাদেশের ন্যায় ভোলাতেও ঘূর্ণিঝড় শক্তি ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলাতে ক্ষতি হয়েছে বেশি। সেখানে ঘর-বাড়ী নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্য খামারের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। এতে ভোলা জেলায় ২শ’ ৩৭টি মাছের ঘের যার পরিমান ১শ’ ৫১ হেক্টর, পুকুর ২ হাজার ৬শ’ ২৬টি যার পরিমান ৩শ’ ১২ হেক্টর এর মাছ ভেসে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে তার ক্ষতির পরিমান ৫শ’ ১৬ লক্ষ টাকা।
সরজমিন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তির তান্ডবে ভেসে গেল রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারীর ১৫ কোটি টাকার রেনু। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভোলাসহ উপকূলীয় জেলাগুলো উপর দিয়ে তান্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় শক্তি। এতে রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারীর ১৫ কোটি টাকার রেনু পোনা ভেসে গেছে। ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাঘমারা মৌজার জেলার সবচেয়ে বৃহৎ ৯০ একর জমিতে মায়ের দোয়া ও সাবাব ব্রিকস এর মালিক আমির হোসেন রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারীর প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকেই রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করেন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলাতেও সরবরাহ করেন। এ বছর খামারটিতে ২০ কোটি মত রেনু পোনা উৎপাদিত হয়, যা ঘূর্ণিঝড় শক্তির তান্ডবে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ভেসে যায়। এতে এ প্রতিষ্ঠানের ১৫ কোটি টাকার মত ক্ষতি হয়।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া জানান, প্রতি বছর এই খামারে যে পরিমানে পোনা উৎপাদিত হয়, তা বরিশালসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে বিক্রি করা হয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিজড়ের কারণে কোটি কোটি রেনু পানিতে ভেসে যায়। প্রতিষ্ঠানের মালিক আমির হোসেন এ ক্ষতি কিভাবে পোসাবেন তা আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।
রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারীর ডাক্তার দুলাল বলেন, আমি দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। আমার হাতেই বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি রেনু পোনা উৎপাদিত এবং বিক্রিও করি। কিন্তু এ বছর ঘূর্ণিজড়ে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব।
খামারের মালিক আমির হোসেন খান বলেন, আমার ৯০ একর জমির উপর ২টা হ্যাচারী, যা রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারী নামে পরিচালিত হচ্ছে। আমি রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২শ টন (২০ থেকে ২৫ কোটি) রেনু উৎপাদন করে থাকি। আমার রেনু পোনা বরিশাল বিভাগসহ লক্ষ্মীপুর এবং অন্যান্য জেলাগুলো বিক্রি করি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় শক্তির তান্ডবে আমার সকল রেনু ও পোনা পানির সাথে ভেসে যায়। এতে আমার ১৫ কোটি টাকার উপর ক্ষতি হয়। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারের সহযোগিত কামনা করছি।
এছাড়া ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনষা গ্রামে ৪০ একর জরিম উপর প্রতিষ্ঠিত সবুজ বাংলা কৃষি খামারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এই খামারের বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক লাখ মাছের পোনা পানিতে ভেসে গেছে। এতে করে এ খামারের প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে একই উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হক এগ্রিকালচারের খামারেরও মাছ পানিতে ভেসে গেছে। খামারের মালিক সাইদুল হক শামিম জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে তার খামারের রুই, কাতলা, মৃগেল, কোড়াল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজারিত মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে তার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে উঠবেন তা নিয়ে চিন্তিত।
অন্যদিকে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের ফাতেমা হ্যাচারী, বাঘমারা গ্রামের রশিদ হ্যাচারী এন্ড মৎস্য খামারেরও ক্ষতি হয়েছে। এ সকল খামারের মালিক নুর হোসেন ও আব্দুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে তাদের খামারের অনেক পাশের পোনা ও মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এ দুই খামারে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। শুধু এসকল খামারিরা নয়, এ রকম ছোট-বড় আরো অনেক খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সরাদেশের ন্যায় ভোলাতেও ঘূর্ণিঝড় শক্তি ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলাতে ক্ষতি হয়েছে বেশি। সেখানে ঘর-বাড়ী নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্য খামারের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। এতে ভোলা জেলায় ২শ’ ৩৭টি মাছের ঘের যার পরিমান ১শ’ ৫১ হেক্টর, পুকুর ২ হাজার ৬শ’ ২৬টি যার পরিমান ৩শ’ ১২ হেক্টর এর মাছ ভেসে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে তার ক্ষতির পরিমান ৫শ’ ১৬ লক্ষ টাকা।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে জেলায় ১শ’ ৪২টি জেলেদের ট্রলার-নৌকার ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমান ১শ ৩৩ লক্ষ টাকা এবং জেলেদের ৬৬টি জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ৬৫ লক্ষ টাকা। অবকাঠামোসহ সর্বমোট ক্ষতি হয়েছে ৭শ’ ১৬ লক্ষ টাকা। ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যদি কোন সহায়তা পাওয়া যায় তা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে এমনটাই জানিয়েছে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

ক্ষতি পেষাতে সরকারী সহযোগিতা চান ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

সম্প্রতি সরাদেশের ন্যায় ভোলাতেও ঘূর্ণিঝড় শক্তি ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলাতে ক্ষতি হয়েছে বেশি। সেখানে ঘর-বাড়ী নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্য খামারের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। এতে ভোলা জেলায় ২শ’ ৩৭টি মাছের ঘের যার পরিমান ১শ’ ৫১ হেক্টর, পুকুর ২ হাজার ৬শ’ ২৬টি যার পরিমান ৩শ’ ১২ হেক্টর এর মাছ ভেসে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে তার ক্ষতির পরিমান ৫শ’ ১৬ লক্ষ টাকা।
সরজমিন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তির তান্ডবে ভেসে গেল রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারীর ১৫ কোটি টাকার রেনু। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভোলাসহ উপকূলীয় জেলাগুলো উপর দিয়ে তান্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় শক্তি। এতে রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারীর ১৫ কোটি টাকার রেনু পোনা ভেসে গেছে। ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাঘমারা মৌজার জেলার সবচেয়ে বৃহৎ ৯০ একর জমিতে মায়ের দোয়া ও সাবাব ব্রিকস এর মালিক আমির হোসেন রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারীর প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকেই রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করেন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলাতেও সরবরাহ করেন। এ বছর খামারটিতে ২০ কোটি মত রেনু পোনা উৎপাদিত হয়, যা ঘূর্ণিঝড় শক্তির তান্ডবে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ভেসে যায়। এতে এ প্রতিষ্ঠানের ১৫ কোটি টাকার মত ক্ষতি হয়।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া জানান, প্রতি বছর এই খামারে যে পরিমানে পোনা উৎপাদিত হয়, তা বরিশালসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে বিক্রি করা হয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিজড়ের কারণে কোটি কোটি রেনু পানিতে ভেসে যায়। প্রতিষ্ঠানের মালিক আমির হোসেন এ ক্ষতি কিভাবে পোসাবেন তা আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।
রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারীর ডাক্তার দুলাল বলেন, আমি দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। আমার হাতেই বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি রেনু পোনা উৎপাদিত এবং বিক্রিও করি। কিন্তু এ বছর ঘূর্ণিজড়ে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব।
খামারের মালিক আমির হোসেন খান বলেন, আমার ৯০ একর জমির উপর ২টা হ্যাচারী, যা রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারী নামে পরিচালিত হচ্ছে। আমি রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২শ টন (২০ থেকে ২৫ কোটি) রেনু উৎপাদন করে থাকি। আমার রেনু পোনা বরিশাল বিভাগসহ লক্ষ্মীপুর এবং অন্যান্য জেলাগুলো বিক্রি করি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় শক্তির তান্ডবে আমার সকল রেনু ও পোনা পানির সাথে ভেসে যায়। এতে আমার ১৫ কোটি টাকার উপর ক্ষতি হয়। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারের সহযোগিত কামনা করছি।
এছাড়া ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনষা গ্রামে ৪০ একর জরিম উপর প্রতিষ্ঠিত সবুজ বাংলা কৃষি খামারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এই খামারের বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক লাখ মাছের পোনা পানিতে ভেসে গেছে। এতে করে এ খামারের প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে একই উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হক এগ্রিকালচারের খামারেরও মাছ পানিতে ভেসে গেছে। খামারের মালিক সাইদুল হক শামিম জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে তার খামারের রুই, কাতলা, মৃগেল, কোড়াল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজারিত মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে তার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে উঠবেন তা নিয়ে চিন্তিত।
অন্যদিকে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের ফাতেমা হ্যাচারী, বাঘমারা গ্রামের রশিদ হ্যাচারী এন্ড মৎস্য খামারেরও ক্ষতি হয়েছে। এ সকল খামারের মালিক নুর হোসেন ও আব্দুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে তাদের খামারের অনেক পাশের পোনা ও মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এ দুই খামারে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। শুধু এসকল খামারিরা নয়, এ রকম ছোট-বড় আরো অনেক খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সরাদেশের ন্যায় ভোলাতেও ঘূর্ণিঝড় শক্তি ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলাতে ক্ষতি হয়েছে বেশি। সেখানে ঘর-বাড়ী নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্য খামারের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। এতে ভোলা জেলায় ২শ’ ৩৭টি মাছের ঘের যার পরিমান ১শ’ ৫১ হেক্টর, পুকুর ২ হাজার ৬শ’ ২৬টি যার পরিমান ৩শ’ ১২ হেক্টর এর মাছ ভেসে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে তার ক্ষতির পরিমান ৫শ’ ১৬ লক্ষ টাকা।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে জেলায় ১শ’ ৪২টি জেলেদের ট্রলার-নৌকার ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমান ১শ ৩৩ লক্ষ টাকা এবং জেলেদের ৬৬টি জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমান ৬৫ লক্ষ টাকা। অবকাঠামোসহ সর্বমোট ক্ষতি হয়েছে ৭শ’ ১৬ লক্ষ টাকা। ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যদি কোন সহায়তা পাওয়া যায় তা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে এমনটাই জানিয়েছে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব।