
সোমবার, ২ জুন ২০২৫ ইং
মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়ন, চরউজিলাব ইউনিয়ন এবং বেলাব ইউনিয়ন বিএনপি এবং অংগসংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল এবং খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি।
আরো উপস্থিত ছিলেন বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়ন চরউজিলাব ইউনিয়ন এবং বেলাব ইউনিয়ন বিএনপি সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এই দেশের মানচিত্র পেতাম না, মানুষের অধিকার পেতাম না, স্বাধীনতা পেতাম না। যারা শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনা অস্বীকার করে তাদের দলে কোন মুক্তিযোদ্ধা নাই। তারা সেদিন পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের এদেশের মানুষের প্রতি কোন ভালোবাসা নাই।
শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার কথা ছিলনা। স্বাধীনতার ঘোষনা দিবেন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি। কিন্তু তারা সেদিন সবাই পালিয়ে গেলো, থেকে গেল এদেশের সাধারন মানুষ। সেই সাধারন মানুষের পক্ষে এসে দাড়ালেন মেজর জিয়া, পৃথিবীর কাছে পৌছে দিলেন স্বাধীনতার কথা। কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষেরাই যুদ্ধ করলো, শহীদ হলো, জিয়াউর রহমান রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে মুক্ত করলেন এই দেশ।
জিয়াউর রহমান সাড়ে ৩ বছরে দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছে তলা বিহীন ঝুড়ির দেশকে কিভাবে এগিয়ে নিতে হয়। তিনি বর্তমান সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, রায়বার যখন পাত্র সাজে দেশ তখন সংকটে পড়ে। তারেক রহমানের ভাবনা ও পরিকল্পনা নিয়ে নেতা কর্মীদের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে কথাগুলো পৌছে দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেম, দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের ভিতরেই একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য রোড ম্যাপ ঘোষণা করুন। কারন বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অপেক্ষা করছে, তারা ভোট দিতে চায়। তারা তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সংস্কারের কথা বলে আর কালক্ষেপণ করবেন না, মানুষ তার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে যে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, জনগণের সরকারই দেশকে পরিপূর্ণ সংষ্কার করতে পারবে।
পতিত স্বৈরাচার সরকার যেভাবে দূর্নীতি এবং লুটপাট করে আমাদের দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে পালিয়ে গেছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাসহ তাদের পিএস বা তাদের আত্মীয় স্বজন’রা যারা ক্ষমতার মোহে পরে বাংলাদেশের মানুষের টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে হরণ করছে – তাদেরও বিচার হবে বাংলার মাটিতে। কারন বাংলাদেশের মানুষ কোনো দূর্নীতিবাজকে কখনোই ক্ষমা করবে না। কোনো অন্যায়কারীকে জনগণ ক্ষমা করবে না।