০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টঙ্গীবাড়ীতে ৪ লাখ টাকার অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট ৪২লাখ টাকায় বিক্রি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ৪লাখ টাকার অস্থায়ী পশুর হাট ৪২লাখ টাকায় বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার অস্থায়ী গরু ছাগলের হাটের ইজারার দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে বালিগাঁও অস্থায়ী হাটের কাঙ্ক্ষিত মূল্য ধরা হয় ৩লক্ষ ৮৮হাজার ৬শ ৬৫টাকা। এবং হাসাইল অস্থায়ী হাটের কাঙ্ক্ষিত মূল্য ধরা হয় ৪লাখ ৫৬হাজার ৮শ ৬০টাকা।
বালিগাঁও সর্বোচ্চ দাম দিয়ে হাজী আবু সাঈদ মিয়া হাট পায়। কিন্তু সেই হাট পুনরায় শিডিউল বিক্রির মাধ্যমে ৪২লক্ষ টাকায় দেলোয়ার হোসেন ব্যাপারী পায় বলে জানা গেছে।
জানা যায়, এই বছর উপজেলায় অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের ডাক গুলোর মধ্যে বালিগাঁও এবং হাসাইল প্রতি হাটে প্রায় ৪লক্ষ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় দ্বিতীয় বার শিডিউল বিক্রির মাধ্যমে হাট বিক্রি করা হয়। তথ্য মতে, বালিগাঁও ৪লাখ টাকার হাট দ্বিতীয় ডাকে বিক্রি হয় ৪২লাখ টাকায়। যেখানে প্রায় ৩৮লাখ টাকা থাকে যেটা একটা চক্র ভাগাভাগি করে ন্যায়। এসব অর্থের নাম মাত্র একটা অংশ পায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যারা এই ইজারা নেয়ার সাথে জড়িত থাকে তারা এবং স্থানীয় কিছু লোকের মাঝে বন্টন হয় এসব টাকা।
এব্যাপারে বালিগাঁও হাটের সাব ডাকের শিডিউল ক্রেতা রিপন মুন্সি জানান, তিনি ৩৫লাখ টাকার শিডিউল ক্রয় করেন কিন্তু সর্বোচ্চ দাম দিয়ে দেলোয়ার হোসেন বেপারী হাট পায়।
আরেকজন সাব ডাকের শিডিউল ক্রেতা জুলহাস শেখ বলেন, আমি বালিগাঁও অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের শিডিউল কিনেছিলাম কিন্তু পাইনি। ৪২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেলোয়ার বেপারী পেয়েছে।
অস্থায়ী কোরবানির হাট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বেপারী বলেন, ৭/৮ লাখ টাকায় হাট নেয়া হয়েছে।
হাট কমিটির সভাপতি দেলোয়ার বেপারী বলেন, সাব ডাক করা হয়নি। সরকার নির্ধারিত ইজারাতেই চলছে হাটের প্রস্তুতি। কিন্তু তার শিডিউল ক্রয় করার ছবি প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাব ডাকের কোনো নিয়ম নেই। যদি আমরা এমন তথ্য পাই তাহলে ইজারা বাতিল করা হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

টঙ্গীবাড়ীতে ৪ লাখ টাকার অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট ৪২লাখ টাকায় বিক্রি

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ৪লাখ টাকার অস্থায়ী পশুর হাট ৪২লাখ টাকায় বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার অস্থায়ী গরু ছাগলের হাটের ইজারার দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে বালিগাঁও অস্থায়ী হাটের কাঙ্ক্ষিত মূল্য ধরা হয় ৩লক্ষ ৮৮হাজার ৬শ ৬৫টাকা। এবং হাসাইল অস্থায়ী হাটের কাঙ্ক্ষিত মূল্য ধরা হয় ৪লাখ ৫৬হাজার ৮শ ৬০টাকা।
বালিগাঁও সর্বোচ্চ দাম দিয়ে হাজী আবু সাঈদ মিয়া হাট পায়। কিন্তু সেই হাট পুনরায় শিডিউল বিক্রির মাধ্যমে ৪২লক্ষ টাকায় দেলোয়ার হোসেন ব্যাপারী পায় বলে জানা গেছে।
জানা যায়, এই বছর উপজেলায় অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের ডাক গুলোর মধ্যে বালিগাঁও এবং হাসাইল প্রতি হাটে প্রায় ৪লক্ষ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় দ্বিতীয় বার শিডিউল বিক্রির মাধ্যমে হাট বিক্রি করা হয়। তথ্য মতে, বালিগাঁও ৪লাখ টাকার হাট দ্বিতীয় ডাকে বিক্রি হয় ৪২লাখ টাকায়। যেখানে প্রায় ৩৮লাখ টাকা থাকে যেটা একটা চক্র ভাগাভাগি করে ন্যায়। এসব অর্থের নাম মাত্র একটা অংশ পায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যারা এই ইজারা নেয়ার সাথে জড়িত থাকে তারা এবং স্থানীয় কিছু লোকের মাঝে বন্টন হয় এসব টাকা।
এব্যাপারে বালিগাঁও হাটের সাব ডাকের শিডিউল ক্রেতা রিপন মুন্সি জানান, তিনি ৩৫লাখ টাকার শিডিউল ক্রয় করেন কিন্তু সর্বোচ্চ দাম দিয়ে দেলোয়ার হোসেন বেপারী হাট পায়।
আরেকজন সাব ডাকের শিডিউল ক্রেতা জুলহাস শেখ বলেন, আমি বালিগাঁও অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের শিডিউল কিনেছিলাম কিন্তু পাইনি। ৪২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেলোয়ার বেপারী পেয়েছে।
অস্থায়ী কোরবানির হাট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বেপারী বলেন, ৭/৮ লাখ টাকায় হাট নেয়া হয়েছে।
হাট কমিটির সভাপতি দেলোয়ার বেপারী বলেন, সাব ডাক করা হয়নি। সরকার নির্ধারিত ইজারাতেই চলছে হাটের প্রস্তুতি। কিন্তু তার শিডিউল ক্রয় করার ছবি প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাব ডাকের কোনো নিয়ম নেই। যদি আমরা এমন তথ্য পাই তাহলে ইজারা বাতিল করা হবে।