মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল ফারুক, কবিরহাট (নোয়াখালী) প্রতিনিধি 
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় চাঁদাবাজি এবং পেশীশক্তি প্রদর্শনপূর্বক জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আনোয়ার হোসেন নয়ন নামের নোয়াখালী জেলা যুবদলের সেই নেতা বহিষ্কার হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় যুবদল তাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে বিষিয়টি নিশ্চিত করেন জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান। এর আগে, একই দিন সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বহিষ্কৃত নেতা আনোয়ার হোসেন নয়ন কবিরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহজঙ্গপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এবং কবিরহাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাঁদাবাজি এবং পেশীশক্তি প্রদর্শনপূর্বক জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ নানা অনাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এবং কবিরহাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন নয়নকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মিদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য; যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন নয়নের বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারীকে মোবাইল ফোনে, ‘বাঁচতে চাইলে দ্রুত এক লাখ টাকা বিকাশে চাওয়া এবং চাঁদার দাবিতে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হয়।
