০৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোল্লাহাটে পশু কোরবানির সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত কামাররা

  • রায়হান শেখ
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • 26

মোল্লাহাট  উপজেলার মোল্লাহাট বাজারে( গাড়ফা বাজার)  পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে পশু  কোরবানির সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। সরেজমিনে মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে  মোল্লাহাট  থানাধীন মোল্লাহাট বাজার( গাড়ফা বাজার),চুনগোলা বাজার,দারিয়ালা বাজার,কোদালিয়া বাজার,গাংনী বাজার  ঘুরে দেখা যায়, কামারপাড়াগুলো টুংটাং শব্দে মুখর। কয়লার আগুনে লোহা পেটাতে পেটাতে ঘাম ঝরছে শ্রমিকদের। চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও বিরাম নেই তাদের হাতে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দা, ছুরি, চাপাতি ও বঁটি তৈরির কাজ। একইসঙ্গে পুরোনো যন্ত্রপাতি শান দিতেও আসছেন অনেকেই। স্থানীয় কামার তপন জানান, সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদ এলে কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। তবে লোহা ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে, ফলে লাভের পরিমাণ কমে গেছে। এছাড়া, চীনা ও ভারতীয় পণ্যের আগ্রাসনে স্থানীয় হস্তশিল্পের চাহিদা কমে যাওয়ায় তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কামাররা আরও জানান, অনেকেই পুরোনো দা-বটি শান দিতে আসছেন, আবার কেউ কেউ নতুন সরঞ্জাম তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। তবে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বাড়াতে হচ্ছে, যা ক্রেতাদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদ মানে আনন্দ,ঈদ মানেই খুশি,তাই যতোই মূল্য বৃদ্ধি ঘটুক না কেন, পশু কোরবানির সরঞ্জাম ক্রয়ে দলে দলে লোকজন ছুটে আসছেন।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

মোল্লাহাটে পশু কোরবানির সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত কামাররা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

মোল্লাহাট  উপজেলার মোল্লাহাট বাজারে( গাড়ফা বাজার)  পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে পশু  কোরবানির সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। সরেজমিনে মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে  মোল্লাহাট  থানাধীন মোল্লাহাট বাজার( গাড়ফা বাজার),চুনগোলা বাজার,দারিয়ালা বাজার,কোদালিয়া বাজার,গাংনী বাজার  ঘুরে দেখা যায়, কামারপাড়াগুলো টুংটাং শব্দে মুখর। কয়লার আগুনে লোহা পেটাতে পেটাতে ঘাম ঝরছে শ্রমিকদের। চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও বিরাম নেই তাদের হাতে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দা, ছুরি, চাপাতি ও বঁটি তৈরির কাজ। একইসঙ্গে পুরোনো যন্ত্রপাতি শান দিতেও আসছেন অনেকেই। স্থানীয় কামার তপন জানান, সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদ এলে কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। তবে লোহা ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে, ফলে লাভের পরিমাণ কমে গেছে। এছাড়া, চীনা ও ভারতীয় পণ্যের আগ্রাসনে স্থানীয় হস্তশিল্পের চাহিদা কমে যাওয়ায় তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কামাররা আরও জানান, অনেকেই পুরোনো দা-বটি শান দিতে আসছেন, আবার কেউ কেউ নতুন সরঞ্জাম তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। তবে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বাড়াতে হচ্ছে, যা ক্রেতাদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদ মানে আনন্দ,ঈদ মানেই খুশি,তাই যতোই মূল্য বৃদ্ধি ঘটুক না কেন, পশু কোরবানির সরঞ্জাম ক্রয়ে দলে দলে লোকজন ছুটে আসছেন।