১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রীবরদীর কামাররা

আসন্ন ঈদুল আযহা
 উপলক্ষে ছুরি-চাকুসহ বিভিন্ন ধারালো হাতিয়ার তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শেরপুরের শ্রীবরদীর  কামাররা। ঈদের মাত্র আর কয়েক দিন বাকি। এজন্য উপজেলা বাসী পশু কোরবানি করার জন্য নতুন ধারালো হাতিয়ার কিনছেন ও শেষবারের মতো তাদের ধারালো হাতিয়ারগুলো শান দিয়ে নিচ্ছেন।
এ সব ধারালো হাতিয়ারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, দা, ছুরি, চাকু, চাপ্পর, কুড়াল সহ আরো অনেক যন্ত্রপাতি। এ কারণে এখন মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন কামারের দোকানগুলোতে।
উপজেলার বটতলা, কাকিলাকুড়া, ভায়াডাঙ্গা ও ঝগড়ার চর বাজার ঘুরে তাদের কর্ম ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। সবাই এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটুখানি অবসরের সময় যেন নেই তাদের হাতে।
 উপজেলার পৌর বাজারের  কামার জানান, প্রতি বছর এক ঈদ মৌসুমেই যত কেনাবেচার ধূম। আর এ থেকে অর্জিত টাকা আর অন্য কাজ করে সারা বছর সংসার চালাতে হয়। কোরবানি ঈদ এলে কাজ বেড়ে যায়। ছোট ছুরি থেকে শুরু করে বড় ছুরি ও দাসায় শাণ দেয়ার জন্য ৩০ টাকা থকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। আবার নতুন ধারালো অস্ত্র তৈরী করে  বিক্রি করা হয়। রকম ভেদে বিভিন্ন অস্ত্রের দাম ভিন্ন ভিন্ন। ৫৫ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকার ধারালো অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে যেগুলো কোরবানীর পশু জবাই, চামড়া ও মাংস ছাড়ানো ছাড়াও দৈনন্দিন কাজে লাগবে।
তবে অন্যবারের তুলনায় এবার হাতিয়ার তৈরিতে বেশি টাকা ও মজুরি বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কামাররা অবশ্য তা অস্বীকার করে বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার লোহা ও কয়লার দাম কিছুটা বেড়েছে। কোনো কিছুর দাম আগের মতো নেই। সবকিছুর দাম বাড়ায় কিছু টাকা বেশি নিতে হচ্ছে। এটা বেশি নয়। স্বাভাবিক দাম ও মজুরি নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত মজুরি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রীবরদীর কামাররা

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
আসন্ন ঈদুল আযহা
 উপলক্ষে ছুরি-চাকুসহ বিভিন্ন ধারালো হাতিয়ার তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শেরপুরের শ্রীবরদীর  কামাররা। ঈদের মাত্র আর কয়েক দিন বাকি। এজন্য উপজেলা বাসী পশু কোরবানি করার জন্য নতুন ধারালো হাতিয়ার কিনছেন ও শেষবারের মতো তাদের ধারালো হাতিয়ারগুলো শান দিয়ে নিচ্ছেন।
এ সব ধারালো হাতিয়ারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, দা, ছুরি, চাকু, চাপ্পর, কুড়াল সহ আরো অনেক যন্ত্রপাতি। এ কারণে এখন মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন কামারের দোকানগুলোতে।
উপজেলার বটতলা, কাকিলাকুড়া, ভায়াডাঙ্গা ও ঝগড়ার চর বাজার ঘুরে তাদের কর্ম ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। সবাই এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটুখানি অবসরের সময় যেন নেই তাদের হাতে।
 উপজেলার পৌর বাজারের  কামার জানান, প্রতি বছর এক ঈদ মৌসুমেই যত কেনাবেচার ধূম। আর এ থেকে অর্জিত টাকা আর অন্য কাজ করে সারা বছর সংসার চালাতে হয়। কোরবানি ঈদ এলে কাজ বেড়ে যায়। ছোট ছুরি থেকে শুরু করে বড় ছুরি ও দাসায় শাণ দেয়ার জন্য ৩০ টাকা থকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। আবার নতুন ধারালো অস্ত্র তৈরী করে  বিক্রি করা হয়। রকম ভেদে বিভিন্ন অস্ত্রের দাম ভিন্ন ভিন্ন। ৫৫ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকার ধারালো অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে যেগুলো কোরবানীর পশু জবাই, চামড়া ও মাংস ছাড়ানো ছাড়াও দৈনন্দিন কাজে লাগবে।
তবে অন্যবারের তুলনায় এবার হাতিয়ার তৈরিতে বেশি টাকা ও মজুরি বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কামাররা অবশ্য তা অস্বীকার করে বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার লোহা ও কয়লার দাম কিছুটা বেড়েছে। কোনো কিছুর দাম আগের মতো নেই। সবকিছুর দাম বাড়ায় কিছু টাকা বেশি নিতে হচ্ছে। এটা বেশি নয়। স্বাভাবিক দাম ও মজুরি নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত মজুরি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।