
সরকার নির্ধারিত হাসিলের চেয়ে অতিরিক্ত আদায় করায় কোরবানির পশুর হাটে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। আজ (বুধবার ৫ জুন) দুপুর ১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি
পশুর হাটে গিয়ে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পান সেনাবাহিনী। এ সময় তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত খাজনা ফেরত দেয়ার জন্য ইজারাদারকে নির্দেশ দেন তারা।
এসময় ইজারাদাররা মাইকিং করে পশু ক্রেতাদের মাঝে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়। এতে অনেক পশু ক্রেতা অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এছাড়া টাকা ফেরত পেয়ে উপস্থিত সকল ক্রেতা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনবাহিনীর প্রশংসা করেন। আর অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার সময় ইজারাদাররা ভবিষ্যতে সরকার নির্ধারিত খাজনার বাইরে অতিরিক্ত খাজনা নিবে না বলে সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
প্রতি বুধবার সদর উপজেলার রতনকান্দি পশুর বড় হাট বসে। হাটের জন্য নির্ধারিত দিন হিসেবে বুধবার সকাল থেকে হাট জমতে শুরু করে। হাটে প্রতি ছাগলের খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৩০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করা হয়।
অথচ এই খাজনা সরকারি তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ছিল ক্রেতার কাছ থেকে ছাগলের ৬০ টাকা।
অপরদিকে ইজারাদাররা গরুর খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৭০০টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করে। যা সরকারি তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৬০ টাকা।
গেল কয়েকদিন ধরেই কোরবানি পশুর হাটে বাড়তি খাজনা আদায় বিষয়ে বেশ তৎপর সেনাবাহিনী।