
হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নে নিজেদের পছন্দের লোককে চাউলের সিলিপ না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের উপর হামলা করে পিটানো হয়। ইউনিয়ন পরিষদে তালা বন্ধ করে সচিবসহ কর্মকর্তাদের করা হয় অবরুদ্ধ। খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয় কৃষকদল ও যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে জেলেদের চাল বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে বয়ারচর ১ নং হরনী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। পরে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিদের্শে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিতরন সহ সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
হরনী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো: নজরুল ইসলাম বলেন, জেলেদের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও জাটকা অভিযানের চাল একসাথে বরাদ্ধ আসে। তাতে উদ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ৪০ কেজি হারে ৬শত ৩০জন জেলেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সিলিপ বিতরণ শেষে আজ নির্ধারিত দিনে বিতরণ করার সময় নির্ধারন করা হয়। বুধবার সকালে সোহেল কবির সহ কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদে এসে ক্ষিপ্ত হন এবং চাউলের সিলিপ কাকে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে চান।
পরে বিতরণ বন্ধ রেখে তাদেরকে নিয়ে উপরে একটি কক্ষে বসে হিসেব বুজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাগ অফিসার ও গ্রাম পুলিশ এসে তার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে। পরে রুম থেকে বের হলে কবিরের নেতিৃত্বে ইটপাটকেল মেরে পুরো পরিষদ তছনছ করে পেলে। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক ইউএনও স্যারকে অবিহিত করলে পুলিশ পাঠিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
হাতিয়া উপজেলা কৃষকদলের উত্তর শাখার আহবায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি পরিষদের সামনের রাস্তাদিয়ে যাওয়ার সময় হট্টোগল দেখে থামি। পরে আমি পরিষদের উপরে গিয়ে দেখি সচিব ও যুবদলের সোহেল সহ একটি কক্ষে পরামর্শ করছে। বাহিরে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পর্যায়ে আমি চলে যায়।
হরনী ইউনিয়ন যুবদলের ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি সোহেল উদ্দিন বলেন, চাল বিতরণ বন্ধ শুনে জেলেরা হট্টোগল করায় আমি সেখানে যায়। সেখানে অনেকে অভিযোগ করেন যারা সিলিপ পেয়েছে তারা জেলে নয়। বিষয়টি আমি সচিবকে জিজ্ঞাসা করেছি। তাকে মারার বা তার গায়ে হাত তোলার ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এই গ্রুপটি অনেক আগ থেকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আজ বিতরনে তারা বাধা দেয়। সচিবে উপর হামলা করেছে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। সচিবকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।