
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার পোড়াদিয়া বাজারে জমেছে ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট। এটি জেলার অন্যতম বৃহৎ পশুর হাট। ঈদের আগে আজ সপ্তাহিক শেষ বাজারের দিন হওয়ায় পশু বেচাকেনার ধুম পড়েছে। সকাল থেকেই দূর দূরান্ত থেকে বিক্রেতারা পশু নিয়ে আসতে থাকে। যাতায়াত সুবিধা থাকায় নরসিংদীর অন্যসব উপজেলা থেকে পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ থেকেও পাইকাররা পশু নিয়ে আসেন।
গত কয়েক বছর ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশে খামারীরা গরুর ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হলেও এবারে অনেকটা আশার আলো ফিরে পেয়েছে গরুর খামারীরা।
দিন যতই বাড়ছে গরুর দাম ও চাহিদা বেড়ে চলছে। ফলে গরু বিক্রেতারা ভালো লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন এই হাটের ইজারাদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাগণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নরসিংদীর নামকরা ঐতিহ্যবাহী পোড়াদিয়া হাটে সপ্তাহে দুদিন বসে গরুর হাট। নদ-নদী বিধৌত এ হাটটির অবস্থান এবং যাতায়াত ভালো থাকায় দেশি গরুর সমাগম বেশি এ হাটে।
এছাড়া খামারিদের পালন করা ফ্রিজিয়ান, অস্ট্রলিয়ান গরুও বিক্রি হয় এ হাটে। ওজন ও বয়স ভেদে গরু আমদানি রপ্তানিও বেশ ভালো।
হাটে আসা গরু বিক্রেতা মো. সোহরাব মিয়া জানান, ‘পোড়াদিয়া’ হাট গরু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য প্রসিদ্ধ হাট। আমি প্রায় ৫ মন ওজনের দেশি গরু হাটে এনেছি। দাম চাচ্ছি ১ লক্ষ টাকা। ক্রেতারা এখন পর্যন্ত ৯০ হাজার দাম বলেছে। আর দু এক হাজার বেশি পেলে গরুটি বিক্রি করবো। হাটে ক্রেতার সমাগম ভালো আশা করছি লাভজনক দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবো।
গরুর পাইকার মো. রইছ মিয়া, ‘আমি এ পর্যন্ত ৬ টি গরু কিনেছি। এগুলো বয়স রঙ ভেদে ৬৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। আশা করছি লোকসান হবে না।
পোড়াদিয়া হাটের একজন ইজারাদার বলেন, ‘পোড়াদিয়া হাটে সরকারি বিধি অনুযায়ী বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রশিদের মাধ্যমে খাজনা (হাসিল) আদায় হচ্ছে। গরু প্রতি ৫ শত টাকা ও ছাগল প্রতি ২৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। হাটে যাতে কোন প্রকার অনিয়ম দূর্নীতি না হয় সে বিষয়ে খুবই গুরুত্বের সাথে কাজ করছি। নিয়মবহির্ভূত কোন কাজ পরিচালিত হচ্ছে না বলে জানান তিনি ’।
একজন টহলরত পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাজারের নিরাপত্তার জন্য ৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা টহল দিচ্ছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।