১০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধর, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের নতুন হাকিমউদ্দিন বাজারে চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। আহত মুজাহিদুল ইসলাম (২২) অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছেন এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন।
গাজীপুরের টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুজাহিদুল গতকাল সন্ধ্যায় (১৪ জুন) বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি যখন ব্যবসায়ীদের অবৈধভাবে চাঁদা দিতে নিষেধ করছিলেন, তখনই হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয়। নিজের ওপর হামলার আশঙ্কায় মুজাহিদুল ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাকে বেদম মারধর করা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, নতুন হাকিমউদ্দিন বাজারটি সরকারিভাবে ইজারাভুক্ত না হলেও একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ‘খাজনার’ নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে। মুজাহিদুল এই অবৈধ চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করলে ছাত্রদল নেতা তুহিনের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী তার ওপর হামলা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ সময় যুবদল নেতা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য লিটন এবং বিএনপি নেতা মিন্টুও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে মুজাহিদুল জানান।
মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “চাঁদাবাজরা দাবি করছে, বাজারের আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকাও নাকি তাদের ইজারার আওতায়। অথচ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাজারটি সরকারিভাবে ইজারাভুক্ত নয়। আমি ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে নিষেধ করলে চাঁদাবাজ বিএনপি নামধারী সন্ত্রাসীরা আমাকে মারধর করে ও ফোন কেড়ে নেয়।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এই হামলার ঘটনা এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, একটি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ওপর এমন হামলা কীভাবে সম্ভব হলো?

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ডোমারে ডাক্তারের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধর, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের নতুন হাকিমউদ্দিন বাজারে চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। আহত মুজাহিদুল ইসলাম (২২) অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছেন এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন।
গাজীপুরের টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুজাহিদুল গতকাল সন্ধ্যায় (১৪ জুন) বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি যখন ব্যবসায়ীদের অবৈধভাবে চাঁদা দিতে নিষেধ করছিলেন, তখনই হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয়। নিজের ওপর হামলার আশঙ্কায় মুজাহিদুল ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাকে বেদম মারধর করা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, নতুন হাকিমউদ্দিন বাজারটি সরকারিভাবে ইজারাভুক্ত না হলেও একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ‘খাজনার’ নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে। মুজাহিদুল এই অবৈধ চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করলে ছাত্রদল নেতা তুহিনের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী তার ওপর হামলা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ সময় যুবদল নেতা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য লিটন এবং বিএনপি নেতা মিন্টুও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে মুজাহিদুল জানান।
মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “চাঁদাবাজরা দাবি করছে, বাজারের আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকাও নাকি তাদের ইজারার আওতায়। অথচ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাজারটি সরকারিভাবে ইজারাভুক্ত নয়। আমি ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে নিষেধ করলে চাঁদাবাজ বিএনপি নামধারী সন্ত্রাসীরা আমাকে মারধর করে ও ফোন কেড়ে নেয়।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এই হামলার ঘটনা এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, একটি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ওপর এমন হামলা কীভাবে সম্ভব হলো?