০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নান্দাইলে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে বাবার অভিযোগ আমলে নিচ্ছেনা পুলিশ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় আল মামুন (২১) নামে এক মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে বাবার অভিযোগ আমলে নিচ্ছেনা পুলিশ। এতে অসহায় হতদরিদ্র বাবা নিজ ছেলে কর্তৃক মারধর আতংকে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। পাশাপাশি ছেলের বিচারের স্বার্থে পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ষাটোর্ধ্ব বাবা সাদির মিয়া। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মো. সাদির মিয়া জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামে মৃত আ: হামিদের পুত্র। স্ত্রী মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে কোনমতে চলছে সংসার জীবন। কিন্তু ঔরসজাত সন্তান আল মামুন পরিবারের অজান্তেই মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ে। ছেলে মাদক সেবন করার বিষয়টি জানতে পেরে বাবা সাদির মিয়া ও মা মুর্শিদা খাতুন অনেকবার শাসন করার পরেও মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারেনি ছেলেকে। প্রতিনিয়তই মাদক কেনার টাকার জন্য মা-বাবাকে চাপ দেয় ছেলে। একপর্যায়ে গত বুধবার ছেলে মাদক কেনার টাকা চায় বাবার কাছে। কিন্তু টাকা না পেয়ে বাবাকে মারধর করে, এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার জন্য উদ্বত হলে দৌড়ে গিয়ে ঘরে দরজা বন্ধ করে রক্ষা পায় সাদির মিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বসত ঘর সংলগ্ন পানের বরজ ও বসতঘর কোপাইয়া ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ছেলের নিত্যদিনের অত্যচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে রোববার (১৫ জুন) সাদির মিয়া বাদী হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে নান্দাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু থানা পুলিশ ওই অভিযোগ আমলে নেয়নি। ফলে সাদির মিয়া নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে অবহিত করেন। এতে ওসি এ ঘটনার বিষয়ে কোন সন্তোষজনক জবাব দেননি। এ দিকে নান্দাইল উপজেলা নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম খান নাসিম সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ওসি’র এরকম অবহেলার বিষয়টির প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন, জনগণের নিরাপত্তার আশ্রয়স্থল পুলিশ প্রশাসন। তাদের নিকট বিচার চাওয়ার পরেও কোন সুরাহা না পেলে সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে ? অভিযোগের সাথে সাথে সরজমিন তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিভিন্নভাবে অজুহাত দেখিয়ে বলেন, এটা আইনের মধ্যে পড়ে না। মাদকাসক্ত ছেলে হাতে মাদক না পেলে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। মা-বাবাকে বরণ পোষণ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী সারমিরা সাত্তার বলেন, পুলিশের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। নিশ্চয়ই জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠিত

নান্দাইলে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে বাবার অভিযোগ আমলে নিচ্ছেনা পুলিশ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় আল মামুন (২১) নামে এক মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে বাবার অভিযোগ আমলে নিচ্ছেনা পুলিশ। এতে অসহায় হতদরিদ্র বাবা নিজ ছেলে কর্তৃক মারধর আতংকে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। পাশাপাশি ছেলের বিচারের স্বার্থে পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ষাটোর্ধ্ব বাবা সাদির মিয়া। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মো. সাদির মিয়া জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামে মৃত আ: হামিদের পুত্র। স্ত্রী মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে কোনমতে চলছে সংসার জীবন। কিন্তু ঔরসজাত সন্তান আল মামুন পরিবারের অজান্তেই মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ে। ছেলে মাদক সেবন করার বিষয়টি জানতে পেরে বাবা সাদির মিয়া ও মা মুর্শিদা খাতুন অনেকবার শাসন করার পরেও মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারেনি ছেলেকে। প্রতিনিয়তই মাদক কেনার টাকার জন্য মা-বাবাকে চাপ দেয় ছেলে। একপর্যায়ে গত বুধবার ছেলে মাদক কেনার টাকা চায় বাবার কাছে। কিন্তু টাকা না পেয়ে বাবাকে মারধর করে, এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার জন্য উদ্বত হলে দৌড়ে গিয়ে ঘরে দরজা বন্ধ করে রক্ষা পায় সাদির মিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বসত ঘর সংলগ্ন পানের বরজ ও বসতঘর কোপাইয়া ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ছেলের নিত্যদিনের অত্যচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে রোববার (১৫ জুন) সাদির মিয়া বাদী হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে নান্দাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু থানা পুলিশ ওই অভিযোগ আমলে নেয়নি। ফলে সাদির মিয়া নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে অবহিত করেন। এতে ওসি এ ঘটনার বিষয়ে কোন সন্তোষজনক জবাব দেননি। এ দিকে নান্দাইল উপজেলা নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম খান নাসিম সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ওসি’র এরকম অবহেলার বিষয়টির প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন, জনগণের নিরাপত্তার আশ্রয়স্থল পুলিশ প্রশাসন। তাদের নিকট বিচার চাওয়ার পরেও কোন সুরাহা না পেলে সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে ? অভিযোগের সাথে সাথে সরজমিন তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিভিন্নভাবে অজুহাত দেখিয়ে বলেন, এটা আইনের মধ্যে পড়ে না। মাদকাসক্ত ছেলে হাতে মাদক না পেলে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। মা-বাবাকে বরণ পোষণ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী সারমিরা সাত্তার বলেন, পুলিশের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। নিশ্চয়ই জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।