১১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলা শহরের কালীনাথ রায়ের বাজারস্থ মেঘনা সল্ট এন্ড ক্রাশিং ফ্যাক্টরিতে এভাবেই লবন তৈরী করছেন শ্রমিকরা

  • শরীফ হোসাইন
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৯:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • 61

ভোলায় সনাতন পদ্ধতিতেই চলছে লবন পরিশোধনের কাজ। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট থেকে ট্রলারে বোঝাই করে কাচামাল এনে প্রক্রিয়াজাত হয় ভোলার  কারখানাগুলোতে। অপরিশোধিত এই লবনের শোধন হয় জলিয় পদ্ধতিতে। বেশ কয়েক ধাপে পরিশোধনের পর পানি মিশ্রিত লবনের দানা শুকানো হয় ক্রাশিং মেশিনে। তৈরি হয় বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহার উপযোগী লবন। পাশাপাশি আয়োডিন মিশ্রিত লবন তৈরি হয় খাদ্য হিসেবেও। পরে প্যাকেটজাত করে বিক্রয় করা হয় আড়তদারদের কাছে। এ লবনের দাম কম হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে বেশ। কিন্তু পর্যাপ্ত  লোকবল ও আর্থিক সংকটের কারণে বাড়াতে পাড়ছেনা ব্যবসার পরিধি। এমনটাই বললেন ভোলা সদরের পৌর সভার কালীনাথ রায়ের বাজারের প্রায় ৩৬ বছর ধরে লবন উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত মোঃ ইয়াদ।
তিনি জানান, পূর্ব পুরুষদের দেয়া এই লবন ব্যবসাটি চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে আরও ৫/৭টি প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ, অর্থ সংকট আর লোকবলের অভাবে ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছেন অনেকেই। বর্তমানে মোটা লবনের দাম কম থাকায় চাহিদাও রয়েছে ভোক্তা পর্যায়ে। যেখানে বড় বড় কোম্পানিগুলোর লবনের দাম প্রতি কেজি ৪০/৪২ টাকা সেখানে আমাদের সনাতন পদ্ধতির প্রতি কেজি লবনের দাম মাত্র ১৪ টাকা। তাই ক্রেতা পর্যায়ে এর রয়েছে চাহিদা। তাছাড়া এবারের ঈদের পূর্বে শিল্পমন্ত্রনালয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমাদের মিল থেকে ৬০টন লবন ক্রয় করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে আধুনিক ভ্যাকুয়াম লবন তৈরির জন্য ভোলা বিসিক শিল্প নগরী থেকে জায়গা বরাদ্ধ নিয়ে ঘর ও কারখানার কাজ শুরু করেছি। অর্থ সংকট থাকায় কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে সরকারি ঋণ সহায়তা পেলে উৎপাদন বাড়িয়ে ভোলার চাহিদা মিটিয়ে বাহিরেও বিক্রয় করা সম্ভব হতো।
স্বাধীনতার পর ঝালকাঠিতে লবন শিল্পের বিকাশ ঘটে, তখন কারখানাগুলোতে লবন তৈরি হতো যাঁতাকল পক্রিয়ায়। পরে দেশে আধুনিক ভ্যাকুয়াম লবন মিল চালু হলে কমে আসে মিলের সংখ্যা। বর্তমানে আমরা ঝালকাঠি জোনের আওতায় রয়েছি।
এ বিষয়ে ভোলা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)’র উপ-ব্যবস্থাপক এসএম সোহাগ হোসেন বলেন, ভোলায় লবনের উৎপাদনের কারখানা আছে তা আমার জানা নেই। আর জায়গা বরাদ্দের বিষয়ে কেউ কোনো আবেদন করেছেন বলেও আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এই ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথাও জানান তিনি।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’, ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা—কাতার

ভোলা শহরের কালীনাথ রায়ের বাজারস্থ মেঘনা সল্ট এন্ড ক্রাশিং ফ্যাক্টরিতে এভাবেই লবন তৈরী করছেন শ্রমিকরা

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৯:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ভোলায় সনাতন পদ্ধতিতেই চলছে লবন পরিশোধনের কাজ। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট থেকে ট্রলারে বোঝাই করে কাচামাল এনে প্রক্রিয়াজাত হয় ভোলার  কারখানাগুলোতে। অপরিশোধিত এই লবনের শোধন হয় জলিয় পদ্ধতিতে। বেশ কয়েক ধাপে পরিশোধনের পর পানি মিশ্রিত লবনের দানা শুকানো হয় ক্রাশিং মেশিনে। তৈরি হয় বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহার উপযোগী লবন। পাশাপাশি আয়োডিন মিশ্রিত লবন তৈরি হয় খাদ্য হিসেবেও। পরে প্যাকেটজাত করে বিক্রয় করা হয় আড়তদারদের কাছে। এ লবনের দাম কম হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে বেশ। কিন্তু পর্যাপ্ত  লোকবল ও আর্থিক সংকটের কারণে বাড়াতে পাড়ছেনা ব্যবসার পরিধি। এমনটাই বললেন ভোলা সদরের পৌর সভার কালীনাথ রায়ের বাজারের প্রায় ৩৬ বছর ধরে লবন উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত মোঃ ইয়াদ।
তিনি জানান, পূর্ব পুরুষদের দেয়া এই লবন ব্যবসাটি চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে আরও ৫/৭টি প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ, অর্থ সংকট আর লোকবলের অভাবে ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছেন অনেকেই। বর্তমানে মোটা লবনের দাম কম থাকায় চাহিদাও রয়েছে ভোক্তা পর্যায়ে। যেখানে বড় বড় কোম্পানিগুলোর লবনের দাম প্রতি কেজি ৪০/৪২ টাকা সেখানে আমাদের সনাতন পদ্ধতির প্রতি কেজি লবনের দাম মাত্র ১৪ টাকা। তাই ক্রেতা পর্যায়ে এর রয়েছে চাহিদা। তাছাড়া এবারের ঈদের পূর্বে শিল্পমন্ত্রনালয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমাদের মিল থেকে ৬০টন লবন ক্রয় করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে আধুনিক ভ্যাকুয়াম লবন তৈরির জন্য ভোলা বিসিক শিল্প নগরী থেকে জায়গা বরাদ্ধ নিয়ে ঘর ও কারখানার কাজ শুরু করেছি। অর্থ সংকট থাকায় কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে সরকারি ঋণ সহায়তা পেলে উৎপাদন বাড়িয়ে ভোলার চাহিদা মিটিয়ে বাহিরেও বিক্রয় করা সম্ভব হতো।
স্বাধীনতার পর ঝালকাঠিতে লবন শিল্পের বিকাশ ঘটে, তখন কারখানাগুলোতে লবন তৈরি হতো যাঁতাকল পক্রিয়ায়। পরে দেশে আধুনিক ভ্যাকুয়াম লবন মিল চালু হলে কমে আসে মিলের সংখ্যা। বর্তমানে আমরা ঝালকাঠি জোনের আওতায় রয়েছি।
এ বিষয়ে ভোলা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)’র উপ-ব্যবস্থাপক এসএম সোহাগ হোসেন বলেন, ভোলায় লবনের উৎপাদনের কারখানা আছে তা আমার জানা নেই। আর জায়গা বরাদ্দের বিষয়ে কেউ কোনো আবেদন করেছেন বলেও আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এই ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথাও জানান তিনি।