
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার কড়া সমালোচনা করেছে কাতার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে এই হামলাকে ‘অবিবেচনাপ্রসূত ও ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এমন ঘটনার ফলে গোটা অঞ্চলে ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসতে পারে।রবিবার (স্থানীয় সময়) দোহায় আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “আমরা এই ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি শুধু ইরানের জন্যই নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক গভীর উদ্বেগের বার্তা বহন করে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের বদলে সংঘাতমূলক পথে এগিয়ে যাওয়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।”তিনি আরও বলেন, “এই হামলার সময়টিও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ইরান তখন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য কূটনৈতিক সমঝোতার পথে অগ্রসর হচ্ছিল। সেই প্রক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। এই পরিস্থিতিতে এমন একটি হামলা কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রতি এক ধরনের অবজ্ঞা।”সংবাদ সম্মেলনে আনসারি জানান, কাতার এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, “দোহা বিশ্বাস করে, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এখনও আগ্রহী। আমরা বিশ্বাস করি, সংঘাত নয় বরং সংলাপই উত্তেজনা কমানোর একমাত্র পথ।”আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানান তিনি। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সংঘাতে গড়ানোর ঝুঁকি ঠেকাতে কাতার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান মুখপাত্র।মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রতি বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে কাতারের এ বিবৃতি কূটনৈতিক মহলে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।