০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তথ্য গোপন করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড: জারি হলো নতুন অধ্যাদেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এতে ভুয়া দাবি করে সরকারি সুবিধা নিলে রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান।অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিকর কাগজপত্র দাখিল করেন এবং নিজেকে ‘জুলাই শহীদের’ পরিবারের সদস্য বা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা কিংবা পুনর্বাসনের সুবিধা গ্রহণ করেন, তবে তা হবে ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা, অথবা প্রাপ্ত সুবিধার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। এখানে অধিদপ্তরের কাঠামো, দায়িত্ব, কর্মচারী নিয়োগসহ প্রাতিষ্ঠানিক দিকগুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অপরাধ ও বিচার সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে চতুর্থ অধ্যায়ে।এখানে বলা হয়েছে, এই আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় ১৮৯৮ সালের দণ্ডবিধি (ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড) অনুসরণ করা হবে। অপরাধগুলো হবে অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য।অধ্যাদেশে আহতদের শ্রেণিবিন্যাসও করা হয়েছে—‘অতি গুরুতর আহত’, ‘গুরুতর আহত’ এবং ‘আহত’। আর যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।সরকার এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুধু শহীদ ও আহতদের মর্যাদা ও সহায়তা নিশ্চিত করতেই নয়, একইসাথে ভুয়া দাবিদারদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতেও আইনি ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বেরোবির দুই সাবেক উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

তথ্য গোপন করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড: জারি হলো নতুন অধ্যাদেশ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:২০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এতে ভুয়া দাবি করে সরকারি সুবিধা নিলে রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান।অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিকর কাগজপত্র দাখিল করেন এবং নিজেকে ‘জুলাই শহীদের’ পরিবারের সদস্য বা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা কিংবা পুনর্বাসনের সুবিধা গ্রহণ করেন, তবে তা হবে ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা, অথবা প্রাপ্ত সুবিধার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। এখানে অধিদপ্তরের কাঠামো, দায়িত্ব, কর্মচারী নিয়োগসহ প্রাতিষ্ঠানিক দিকগুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অপরাধ ও বিচার সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে চতুর্থ অধ্যায়ে।এখানে বলা হয়েছে, এই আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় ১৮৯৮ সালের দণ্ডবিধি (ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড) অনুসরণ করা হবে। অপরাধগুলো হবে অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য।অধ্যাদেশে আহতদের শ্রেণিবিন্যাসও করা হয়েছে—‘অতি গুরুতর আহত’, ‘গুরুতর আহত’ এবং ‘আহত’। আর যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।সরকার এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুধু শহীদ ও আহতদের মর্যাদা ও সহায়তা নিশ্চিত করতেই নয়, একইসাথে ভুয়া দাবিদারদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতেও আইনি ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।