১২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেরোবির দুই সাবেক উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • Rakibul Hasan Munna
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১২:০৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • 79
নকশা পরিবর্তন, অর্থ আত্মসাৎ এবং ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের (বেরোবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৮ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী; সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ; সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এবং দুই ঠিকাদার আ. সালাম বাচ্চু ও এম এম হাবিবুর রহমান।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানায়, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে অনুমোদিত নকশা উপেক্ষা করে পরিবর্তন, ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সম্পাদন, নিরাপত্তা জামানতের অর্থ এফডিআর হিসেবে জমা রেখে তা গ্যারান্টি হিসেবে দেখিয়ে ঠিকাদারকে লোন পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।”
এছাড়াও, চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের বিধান না থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল প্রদান, সেই বিল সমন্বয়ের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টি অবমুক্ত করা এবং সরকারি বিধিমালা না মেনে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
এসব অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বগুড়া শাহজাহানপুরে দস্যুতা চক্রের ৩ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার

বেরোবির দুই সাবেক উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:০৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
নকশা পরিবর্তন, অর্থ আত্মসাৎ এবং ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের (বেরোবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৮ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী; সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ; সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এবং দুই ঠিকাদার আ. সালাম বাচ্চু ও এম এম হাবিবুর রহমান।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানায়, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে অনুমোদিত নকশা উপেক্ষা করে পরিবর্তন, ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সম্পাদন, নিরাপত্তা জামানতের অর্থ এফডিআর হিসেবে জমা রেখে তা গ্যারান্টি হিসেবে দেখিয়ে ঠিকাদারকে লোন পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।”
এছাড়াও, চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের বিধান না থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল প্রদান, সেই বিল সমন্বয়ের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টি অবমুক্ত করা এবং সরকারি বিধিমালা না মেনে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
এসব অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।