০৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে বিএনপি নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঢাকা থেকে গ্রেফতার

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিএনপি নেতা মো. ইলিয়াস মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. সুমন মিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মো. সুমন মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মো. মজিবর রহমানের ছেলে।
আজ শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম রেজা।
তিনি বলেন, ‘এ-র আগে গত শুক্রবার রাতে ঢাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ।’
ওসি (তদন্ত) বলেন, ‘এ মামলায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রও। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর আছে বলেও জানান তিনি।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন রাত ১১টার দিকে বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়া তার মৎস্য খামার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জামগাছতলা এলাকায় পরিকল্পিত হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তাকে লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৭ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঘটনার তিনদিন পর ৯ জুন নিহতের স্ত্রী মোছা. লিপি বেগম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত ইলিয়াস মিয়া রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে। তিনি সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নিহত মো. ইলিয়াস মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী প্রবাসী তারাজুল ইসলামের জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। বিদেশে অবস্থান করেও তারাজুল ইসলামের পরিকল্পনা ও মদদেই সুমন মিয়ারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নড়াইল ডিবি কর্তৃক ২৬(ছাব্বিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ০২

সুন্দরগঞ্জে বিএনপি নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঢাকা থেকে গ্রেফতার

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:০৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিএনপি নেতা মো. ইলিয়াস মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. সুমন মিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মো. সুমন মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মো. মজিবর রহমানের ছেলে।
আজ শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম রেজা।
তিনি বলেন, ‘এ-র আগে গত শুক্রবার রাতে ঢাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ।’
ওসি (তদন্ত) বলেন, ‘এ মামলায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রও। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর আছে বলেও জানান তিনি।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন রাত ১১টার দিকে বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়া তার মৎস্য খামার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জামগাছতলা এলাকায় পরিকল্পিত হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তাকে লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৭ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঘটনার তিনদিন পর ৯ জুন নিহতের স্ত্রী মোছা. লিপি বেগম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত ইলিয়াস মিয়া রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে। তিনি সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নিহত মো. ইলিয়াস মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী প্রবাসী তারাজুল ইসলামের জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। বিদেশে অবস্থান করেও তারাজুল ইসলামের পরিকল্পনা ও মদদেই সুমন মিয়ারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।