০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বইয়ের পাতায় লেখা নম্বর থেকেই উদ্ধার, হারিয়ে যাওয়া শিশু মেঘনা ফিরলো পরিবারের কোলে

বগুড়ার শাজাহানপুর থানার পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরে গেল হারিয়ে যাওয়া সাত বছরের শিশু কন্যা মেঘনা।
গামী এস.কে. স্পেশাল পরিবহনের একটি বাসে শিশু মেঘনাকে নিয়ে তার পিতা মো. মিরু (৩৫), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে বাসটি সাময়িকভাবে থামলে, পিতা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে মেয়েকে বাসে রেখেই নামেন। এর মাঝেই বাসটি পুনরায় যাত্রা শুরু করে, ফেলে যায় মেঘনার বাবাকে।
বাসের সুপারভাইজার বিষয়টি বুঝতে পেরে শিশুটিকে নিয়ে শাজাহানপুর থানায় পৌঁছান এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। দায়িত্বে থাকা এসআই তহুরা বেগম শিশুর ব্যাগে থাকা বইয়ের পাতায় একটি মোবাইল নম্বর খুঁজে পান—যেটি ছিল তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের।
ওই নম্বরে যোগাযোগ করে শিক্ষককে শিশুটির ব্যাপারে জানানো হলে, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে খবর দেন। পিতারাও বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান চালাতে চালাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন।
পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়ার পর মেঘনার বাবা থানায় এসে পৌঁছান এবং যথাযথ যাচাই-বাছাই শেষে শিশুটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
ঘটনার দ্রুত ও মানবিক সমাধানে জড়িত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মেঘনার পরিবার। শিশু নিরাপত্তা ও সহানুভূতির এমন দৃষ্টান্ত সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেয় বলেও মনে করছেন সচেতন মহল।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নড়াইল ডিবি কর্তৃক ২৬(ছাব্বিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ০২

বইয়ের পাতায় লেখা নম্বর থেকেই উদ্ধার, হারিয়ে যাওয়া শিশু মেঘনা ফিরলো পরিবারের কোলে

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরে গেল হারিয়ে যাওয়া সাত বছরের শিশু কন্যা মেঘনা।
গামী এস.কে. স্পেশাল পরিবহনের একটি বাসে শিশু মেঘনাকে নিয়ে তার পিতা মো. মিরু (৩৫), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে বাসটি সাময়িকভাবে থামলে, পিতা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে মেয়েকে বাসে রেখেই নামেন। এর মাঝেই বাসটি পুনরায় যাত্রা শুরু করে, ফেলে যায় মেঘনার বাবাকে।
বাসের সুপারভাইজার বিষয়টি বুঝতে পেরে শিশুটিকে নিয়ে শাজাহানপুর থানায় পৌঁছান এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। দায়িত্বে থাকা এসআই তহুরা বেগম শিশুর ব্যাগে থাকা বইয়ের পাতায় একটি মোবাইল নম্বর খুঁজে পান—যেটি ছিল তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের।
ওই নম্বরে যোগাযোগ করে শিক্ষককে শিশুটির ব্যাপারে জানানো হলে, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে খবর দেন। পিতারাও বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান চালাতে চালাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন।
পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়ার পর মেঘনার বাবা থানায় এসে পৌঁছান এবং যথাযথ যাচাই-বাছাই শেষে শিশুটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
ঘটনার দ্রুত ও মানবিক সমাধানে জড়িত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মেঘনার পরিবার। শিশু নিরাপত্তা ও সহানুভূতির এমন দৃষ্টান্ত সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেয় বলেও মনে করছেন সচেতন মহল।