
(শেরপুর) নালিতাবাড়ী উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এন সি পির) নব্য গঠিত সমন্বয়ক কমিটি গত ১৯ শে জুন ২০২৫’ বৃহস্পতিবার
একটি এনসিপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি প্রকাশ করেন।
কমিটি প্রকাশ পাওয়ার পর পরি নালিতাবাড়ীতে শুরু হয় বিতর্ক, বিতর্ককারীদের উক্তি ও তথ্য প্রমানে পাওয়া যায়, প্রধান সম্বনয়ক জুবায়ের সহ অনেকেই নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতো, প্রয়াত কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা সাহেবের গ্রুপের সাথে ছিল,
অনেক সময় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করতেও দেখায় যায় তাকে,
আবার অপর দিকে, গাছগড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কমর্রত আছে বলে জানা যায়,
সরকারী চাকুরীজীবিদের রাজনীতিক দলে পদ পদবী থাকা যাবে না,
আইনে থাকলেও সেই আইনের তোয়াক্কা না করে , নালিতাবাড়ী উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এন সি পির) প্রধান সমন্ময়ক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে,
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটিতে জুবায়ের আহমেদকে প্রধান সমন্বয়কারী করে কমিটি অনুমোদন দেন,
কমিটিতে আরো স্থান পেয়েছেন – যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন রাশেদুল হাসান লিখন, মমিনুল ইসলাম, মেরিনা আশা, জাহিদুল ইসলাম, আ.র.ম বাকি বিল্লাহ, আবীর দেবনাথ দিপু, মেহেদী ফয়সাল সোহাগ, মাসুদ রানা, মেহেদী হাসান রুবেল, মোঃ রেজাউল কিবরিয়া খান পনির।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাফিজুর রহমান সাদিক, সঞ্জয় রায়, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর কবির, এডভোকেট সামিয়া সুলতানা শারমিন, মাসাদুল ইসলাম, রকিবুল হাসান রকি, মো: সোহেল রানা, খালিদ মাহমুদ রুবেল, আলি আহসান মোজাহিদ, সুজন মিয়া, হোসেন আহমেদ, মোঃ সোহেল, জোনাব আলী, মো: সেলিম মিয়া, সাইফুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন মাষ্টার, মোঃ হেলাল উদ্দিন, আজিজুল ইসলাম সুমন, মিজানুর রহমান চৌধুরী।
এদের মধ্যে অনেকেই নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল,বলে তথ্য পাওয়া যায়,
কমিটিতে জায়গা পাওয়া নারী মেরিনা আশা বলেন আমি কখনো রাজনীতিই করি নি, আবার,
প্রধান সমন্বয়ক জুবায়ের আহম্মেদের একটি ছবি
নিষিদ্ধ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সরকার গোলাম ফারুক এর সাথে দেখা যায় ,
এই তথ্য প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই,
(আজ ২১ শে জুন ২০২৫’ শনিবার )
শেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ইন্জিনিয়ার মোঃ লিখন মিয়া একটি ফেসবুক পেজে সাময়িক ভাবে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত আদেশ দেন,
পরে যাচাই-বাছাই করে কমিটি বিলুপ্তি করা হবে বলে জানান তিনি,।
এবার কথা হলো —
যেই কমিটি নিষিদ্ধ করার জন্য আন্দোলন করলেন, সেই নিষিদ্ধ সংগঠনকে পূর্ণবাসন করার সুযোগ না দিয়ে কমিটি জেনে শুনে সঠিক তথ্য নিয়ে পরে কমিটি অনুমোদন দেওয়া অবশ্যক, “বলে জানান বিতর্ক কারীরা।