
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে চাঁদা আদায়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি সম্পৃক্ত নয় বলে জানানো হয়। সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবেহায়াত ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনু স্বাক্ষরিত সাদা কাগজে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানান।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ উল্লেখ করার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মধ্যনগর উপজেলাধীন বংশীকুন্ডা (উঃ) ইউনিয়নের মহেষখলা বাজারের পার্শ্ববর্তী দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারণে কেন্দ্র করে সন্ধায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া বিএনপিকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করছেন। এতে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কোন সম্পৃক্ততা নেই। মধ্যনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় মধ্যনগর উপজেলার মহেষখলা বাজারে বালু- পাথর বহনকারী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষে এক জন নিহত এবং উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সীমান্তের তাহিরপুর এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া বালু পাথরের ট্রাক থেকে ওখানে চাঁদাবাজি করছে বিএনপি ও ছাত্রদল যুবদলের একটি পক্ষ। এ নিয়ে উপজেলার সাউদপাড়ার বাসিন্দা স্থানীয় বিএনপির নেতা হযরত আলী এবং হোসেনপুরের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা হারুন মাহমুদের লোকজনের মধ্যে গেল সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আধিপত্যের এই দ্বন্দ্বে এলাকায় শক্তিশালী দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে।
এই দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে মোহাম্মদ আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন এবং উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওখানে উত্তেজনা বিরাজ করায় একজন সহকারী পুলিশ সুপার ও থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ জানান, চাঁদা আদায় কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঢিলের আঘাতে একজন বয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। একজন সহকারী পুলিশ সুপার ও থানার ওসির নেতৃত্বে ওখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।