
আজ (২৩শে জুন ২০২৫ইং সোমবার) সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবের সামনে কুলাউড়া উপজেলার শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী নাফিসা জান্নাত আনজুমকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং ধর্ষক জুনেলের দ্রুত বিচারকার্য সমাপ্ত করে ফাঁসির দাবিতে জেলার সচেতন যুব সমাজের আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ, সমাজের নানা পেশার মানুষ।
তাদের দাবি ছিলে সমাজে, দেশে এমন নৃশংসতম ঘটনা যেন আর না ঘটে। ধর্ষণ, হত্যা এর কঠোর আইন অনুযায়ী দ্রুততম আসামী জুনেলের বিচার শেষ করে ফাঁসির দাবি।এতে ভবিষ্যতে সমাজ এরকম কর্মকান্ড হবে নাহ বলে আশাবাদী তারা।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার গত ১২ই জুন সকালে কোচিং ক্লাসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় আনজুম। এরপর সে আর ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে ওই দিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বজনরা। পরে ১৪ই জুন বিকেলে বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে আনজুমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরবর্তীতে ১৮ঘন্টার মধ্যে পুলিশের দৃঢ় প্রচেষ্টা সন্দেহজনক ভাবে গ্রপ্তার করা হয় একই এলাকার জুনেল নামের একজন কে। পুলিশ তার থেকে জামা কাপড়সহ আর অনেক আলামত পেয়েছে। এতে আনজুম হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত খুনি জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরলেও আদালতে স্বীকারোক্তি না দেওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
১৯শে জুন সকালে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফ বিল্লাহ তারেকের খাস কামরায় অভিযুক্ত জুনেলকে হাজির করা হয়। তবে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আদালতের সামনে সে কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আনজুমকে কীভাবে হত্যা করেছে- তার বিস্তারিত বিবরণ দেয় জুনেল। কিন্তু আদালতে সে পুরোপুরি নীরব ভূমিকা পালন করে। এতে মামলার অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা। এদিন পুলিশ জুনেলের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করে। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন আনজুমের পরিবার ও এলাকাবাসী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আদালতে জুনেল স্বীকারোক্তি দেয়নি। সে এখন প্রতারণার আশ্রয় নিতে চাইছে। আমরা তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম, কিন্তু তা নামঞ্জুর হয়েছে। তবে আমরা পুনরায় রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করব।