১১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জ পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে
আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।
। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত তারেকুল ইসলাম তারেক সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা একই মহল্লার মৃত কাশেম আলীর ছেলে সেলিম রেজা ও বাদল সেখ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম খান।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩ এর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হামিদুল ইসলাম দুলাল জানান, মামলার ১৮ জন আসামীর মধ্যে এক জনকে মৃত্যুদন্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায়  ১৩ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত গোলাম মোস্তফার সাথে আসামীদের সামাজিক, ব্যবসায়ীক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।  তারই জেরে ২০১৮ সালের ৩রা অক্টোবর গোলাম মোস্তফা ফজরের নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলো।
এ সময় আসামীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিখা খাতুন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামী করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায়  একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্শীট দাখিল করেন পুলিশ। মামলা চলাকালে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত। স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ আদালত এক জনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। নিহত গোলাম মোস্তফা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

সিরাজগঞ্জে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
সিরাজগঞ্জ পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে
আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।
। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত তারেকুল ইসলাম তারেক সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা একই মহল্লার মৃত কাশেম আলীর ছেলে সেলিম রেজা ও বাদল সেখ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম খান।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩ এর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হামিদুল ইসলাম দুলাল জানান, মামলার ১৮ জন আসামীর মধ্যে এক জনকে মৃত্যুদন্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায়  ১৩ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত গোলাম মোস্তফার সাথে আসামীদের সামাজিক, ব্যবসায়ীক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।  তারই জেরে ২০১৮ সালের ৩রা অক্টোবর গোলাম মোস্তফা ফজরের নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলো।
এ সময় আসামীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিখা খাতুন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামী করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায়  একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্শীট দাখিল করেন পুলিশ। মামলা চলাকালে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত। স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ আদালত এক জনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। নিহত গোলাম মোস্তফা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।