০৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রৌমারীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, হাত-পা বেঁধে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ১৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়াল গ্রাম এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহিন মাষ্টারের বাড়িতে ২২ জুন (শনিবার) গভীর রাতে এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে মুখে কসটেপ লাগিয়ে জিম্মি করে প্রায় ১৩ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, মধ্যরাতে সংঘবদ্ধ একদল মুখোশধারী ডাকাত বাড়ির গেট, বারান্দার দরজা ও মূল দরজার ছিটকানি ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বেঁধে ফেলে এবং মুখে কসটেপ লাগিয়ে দেয় যাতে কেউ চিৎকার করতে না পারে। ডাকাতরা ঘরে থাকা সোনা, নগদ টাকা, মোবাইল ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুট করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে পরিবারের একজন সদস্য কোনও রকমে নিজের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং বিষয়টি রৌমারী থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকাতি হওয়া বাড়িটি পরিদর্শন করে এবং আলামত সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে যায়।
পরদিন সকালে ভুক্তভোগী শাহিন মাষ্টার রৌমারী থানায় উপস্থিত হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এ ঘটনায় গোটা এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পুলিশের টহল ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

আত্রাইয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গ্রেফতার

রৌমারীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, হাত-পা বেঁধে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ১৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়াল গ্রাম এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহিন মাষ্টারের বাড়িতে ২২ জুন (শনিবার) গভীর রাতে এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে মুখে কসটেপ লাগিয়ে জিম্মি করে প্রায় ১৩ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, মধ্যরাতে সংঘবদ্ধ একদল মুখোশধারী ডাকাত বাড়ির গেট, বারান্দার দরজা ও মূল দরজার ছিটকানি ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বেঁধে ফেলে এবং মুখে কসটেপ লাগিয়ে দেয় যাতে কেউ চিৎকার করতে না পারে। ডাকাতরা ঘরে থাকা সোনা, নগদ টাকা, মোবাইল ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুট করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে পরিবারের একজন সদস্য কোনও রকমে নিজের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং বিষয়টি রৌমারী থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকাতি হওয়া বাড়িটি পরিদর্শন করে এবং আলামত সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে যায়।
পরদিন সকালে ভুক্তভোগী শাহিন মাষ্টার রৌমারী থানায় উপস্থিত হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এ ঘটনায় গোটা এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পুলিশের টহল ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।