০৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিব মহোদয়গনের কাছে খোলা চিঠি

সামাজিক মাধ্যম থেকে একটি আর্টিকেল পেয়েছি সেখানে সে ভদ্রলোক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সচিব মহোদয়ের নিকট বাঞ্ছারামপুর মানুষের পক্ষ থেকে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন । সে চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন

“চিকিৎসকে ভরা কমপ্লেক্স এখন চিকিৎসক সংকটে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিব মহোদয়গনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,

দুই-এক বছর আগেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ছিল চিকিৎসক সমৃদ্ধ একটি হাসপাতাল। তখন সাধারণ মানুষ সেবা পেতে ভরসা পেত এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটির উপর। কিন্তু বর্তমানে সেখানে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে, যা এলাকাবাসীর মাঝে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

একসময় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সরকারি  স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশনসহ নানা ধরনের জরুরি চিকিৎসা সেবা চালু ছিল গরীব রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে স্বস্তিতে থাকতেন। কিন্তু এখন সেসব সেবা বন্ধ হয়ে গেছে ডাক্তার সংকটের কারনে। সিজার করাতে গিয়েও গরিব মানুষকে ঋণ করে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি সত্যিই কষ্টদায়ক।

এদিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার অনেক কৃতী সন্তান বর্তমানে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে, এমনকি সচিব পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। জন্মভূমির এই সংকটময় পরিস্থিতি হয়তো অনেকেই জানেন না। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাদের প্রতি বিনীত আহ্বান—আপনারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডাক্তার সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করুন।

এই অঞ্চলের অসংখ্য দরিদ্র ও অসহায় মানুষ প্রতিনিয়ত চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। মহান আল্লাহ আপনাদের দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বসিয়েছেন, এই জনপদের মানুষের জন্য একটু চেষ্টা করাই হবে আপনাদের প্রতি আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনের অংশ।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা—সচিব মহোদয়গণ দ্রুত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তদবির করে ডাক্তার নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবেন এবং আবার যেন সিজার অপারেশনসহ জরুরি সেবা চালু হয়, তার ব্যবস্থা করবেন।

এটি কেবল চিকিৎসা নয়—মানুষের জীবনের প্রশ্ন। আপনারা এগিয়ে আসবেন, এই প্রত্যাশায় বাঞ্ছারামপুরের মানুষ আজও আশায় পথ চেয়ে আছে।”

গত কয়েকদিন পূর্বে এই বাঞ্ছরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়েছে সেখানে তাদের সাথে কথা বললে জানতে পারা গেছে বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যারা দায়িত্ব দিন আছেন তারা জানিয়েছেন ডাক্তার এবং মেশিনের অভাবে মূলত এরকম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গরিব জনগণকে।

তাই বাঞ্ছারামপুরের জনগণ সকলেরই মনের তামান্না এবং চাওয়া সরকার যেন বান্দারামপুরের এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিকে সুদৃষ্টি দেন এবং বাঞ্ছারামপুরের মানুষের আনন্দ এবং চিকিৎসা আবার আগের মতো ফিরে আসে।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মোট জনসংখ্যা নিয়ে ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩৫,১১৮ জন  ।

দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য জরিপ (DHS 2022) থেকে জানা গেছে—

৩০.৫% শিশু জ্বর/ARl–এর মতো উপসর্গে ভুগেছে,

৪.৮%–এ ডায়রিয়া আছে  ।

তবে, গড়ে প্রতিদি আনুমানিক হিসাব মানুষ অসুস্থ থাকে”

1. জনসংখ্যা: ≈ ৩৩৫ হাজার

2. দৈনিক অসুস্থের হার (অনুমান):

DHS–ভিত্তিক মাসিক ৩০.৫% জ্বর–সংক্রান্ত:

মাসে = ০.৩০৫ × ৩৩৫,১১৮ ≈ ১০২,২৬৪ জন

→ দিনে ≈ ৩,৪০৮ জন

ডায়রিয়া ৪.৮%:

মাসে ≈ ১৬,০৪৫ জন → দিনে ≈ ৫৩৪ জন

3. দুই ধরনের অসুস্থতার রুপরেখা মিলিয়ে, দিনে আনুমানিক ৪০০০–৪৬০০ জন ভারসাম্যে অসুস্থ থাকতে পারেন।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মাগুরায় রোমহর্ষক ঘটনা! জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যাচেষ্টা

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিব মহোদয়গনের কাছে খোলা চিঠি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

সামাজিক মাধ্যম থেকে একটি আর্টিকেল পেয়েছি সেখানে সে ভদ্রলোক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সচিব মহোদয়ের নিকট বাঞ্ছারামপুর মানুষের পক্ষ থেকে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন । সে চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন

“চিকিৎসকে ভরা কমপ্লেক্স এখন চিকিৎসক সংকটে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিব মহোদয়গনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,

দুই-এক বছর আগেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ছিল চিকিৎসক সমৃদ্ধ একটি হাসপাতাল। তখন সাধারণ মানুষ সেবা পেতে ভরসা পেত এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটির উপর। কিন্তু বর্তমানে সেখানে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে, যা এলাকাবাসীর মাঝে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

একসময় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সরকারি  স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশনসহ নানা ধরনের জরুরি চিকিৎসা সেবা চালু ছিল গরীব রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে স্বস্তিতে থাকতেন। কিন্তু এখন সেসব সেবা বন্ধ হয়ে গেছে ডাক্তার সংকটের কারনে। সিজার করাতে গিয়েও গরিব মানুষকে ঋণ করে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি সত্যিই কষ্টদায়ক।

এদিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার অনেক কৃতী সন্তান বর্তমানে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে, এমনকি সচিব পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। জন্মভূমির এই সংকটময় পরিস্থিতি হয়তো অনেকেই জানেন না। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাদের প্রতি বিনীত আহ্বান—আপনারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডাক্তার সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করুন।

এই অঞ্চলের অসংখ্য দরিদ্র ও অসহায় মানুষ প্রতিনিয়ত চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। মহান আল্লাহ আপনাদের দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বসিয়েছেন, এই জনপদের মানুষের জন্য একটু চেষ্টা করাই হবে আপনাদের প্রতি আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনের অংশ।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা—সচিব মহোদয়গণ দ্রুত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তদবির করে ডাক্তার নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবেন এবং আবার যেন সিজার অপারেশনসহ জরুরি সেবা চালু হয়, তার ব্যবস্থা করবেন।

এটি কেবল চিকিৎসা নয়—মানুষের জীবনের প্রশ্ন। আপনারা এগিয়ে আসবেন, এই প্রত্যাশায় বাঞ্ছারামপুরের মানুষ আজও আশায় পথ চেয়ে আছে।”

গত কয়েকদিন পূর্বে এই বাঞ্ছরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়েছে সেখানে তাদের সাথে কথা বললে জানতে পারা গেছে বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যারা দায়িত্ব দিন আছেন তারা জানিয়েছেন ডাক্তার এবং মেশিনের অভাবে মূলত এরকম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গরিব জনগণকে।

তাই বাঞ্ছারামপুরের জনগণ সকলেরই মনের তামান্না এবং চাওয়া সরকার যেন বান্দারামপুরের এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিকে সুদৃষ্টি দেন এবং বাঞ্ছারামপুরের মানুষের আনন্দ এবং চিকিৎসা আবার আগের মতো ফিরে আসে।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মোট জনসংখ্যা নিয়ে ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩৫,১১৮ জন  ।

দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য জরিপ (DHS 2022) থেকে জানা গেছে—

৩০.৫% শিশু জ্বর/ARl–এর মতো উপসর্গে ভুগেছে,

৪.৮%–এ ডায়রিয়া আছে  ।

তবে, গড়ে প্রতিদি আনুমানিক হিসাব মানুষ অসুস্থ থাকে”

1. জনসংখ্যা: ≈ ৩৩৫ হাজার

2. দৈনিক অসুস্থের হার (অনুমান):

DHS–ভিত্তিক মাসিক ৩০.৫% জ্বর–সংক্রান্ত:

মাসে = ০.৩০৫ × ৩৩৫,১১৮ ≈ ১০২,২৬৪ জন

→ দিনে ≈ ৩,৪০৮ জন

ডায়রিয়া ৪.৮%:

মাসে ≈ ১৬,০৪৫ জন → দিনে ≈ ৫৩৪ জন

3. দুই ধরনের অসুস্থতার রুপরেখা মিলিয়ে, দিনে আনুমানিক ৪০০০–৪৬০০ জন ভারসাম্যে অসুস্থ থাকতে পারেন।