
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নন্দীপাড়া ও ধান্যদৌল মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের আংশিক ৫একর ২৭ শতক জায়গায় বাড়িঘর নির্মাণ ও পুকুর খনন করে নন্দীপাড়া ও ধান্যদৌল গ্রামের ১৮ টি অসহায় ভূমিহীন পরিবারকে ৪০ বছর আগে গুচ্ছগ্রাম নামকরণে বসবাস করার স্থায়ী বন্দোবস্ত করে সরকার। যার খতিয়ান নং -১৬৬৩/১৭১৯।
বর্তমানে কিছু স্থানীয় ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালী ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত প্রাপ্ত জায়গা ও তাদের ব্যবহৃত পুকুর দখলে নিয়ে যায়। ভূমিহীন পরিবারের কেউ বাধা দিতে আসলে তাদেরকে হামলা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।গুচ্ছগ্রামবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।পুকুর পাড়ে ভূমিহীন পরিবারের লাগানো শতাধিক গাছ কর্তন করে নিয়ে যায় এবং ভূমিহীন পরিবারকে পুকুর ও পুকুরের পাশ্বের জায়গা হতে বেদখল দেয়।
পুকুর পাড়ে থাকা ভূমিহীন পরিবারের মোহাম্মদ এরশাদ এবং আবুল বাশার বলেন -পুকুর পাড়ে গাছ কাটার সময় গুচ্ছগ্রামের সবাই তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করি কিন্তু তখনকার স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন ছিল ভূমিধস্যু ও দখলবাজরা। এইজন্য অধ্যবদি আমাদের বন্দোবস্তকৃতপুকুর ও জায়গায় আমরা গুচ্ছগ্রামের লোকেরা ভোগদখল করতে পারিনা। আমরা সবাই এ সকল ভূমি দস্যু ও দখলদার বাহিনীর কারণে মানবেতের জীবনযাপন করছি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৭/০৬/২০২৫তারিখে আমরা ভূমিহীন পরিবারের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন গুচ্ছগ্রামের কিছু সংখ্যক লোক লিখিত অভিযোগ করেছেন তদন্ত সাপেক্ষে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। অভিযোগে কয়েকজন ভূমিদস্য ও দখলদার বাহিনীর নাম উল্লেখ করা হয়। ১/সবুর খান চৌধুরী পিতা মৃত আমানত খান চৌধুরী ২/কাইয়ুম খান পিতা মৃত আব্দুর রউফ ৩/বাবু খান পিতা মৃত আমানত খান ৪/সাদেক মিয়া পিতা মৃত আব্দুর রহিম সর্ব ধান্যদৌল,ব্রাহ্মণপাড়া কুমিল্লা।