অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধারকৃত ১৬৫ একর জমিতে গড়ে উঠা ‘মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার এন্ড ইকো ট্যুরিজম পার্ক’ এবার অর্জন করতে যাচ্ছে বৃক্ষরোপণে জাতীয় স্বীকৃতি। ২০২৪ সালের ‘বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার’ এর জন্য পার্কটিকে মনোনীত করা হয়েছে।পর্যটন, পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ দেশের ইকো-ট্যুরিজম বিকাশে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পার্কটিতে ইতোমধ্যে **১০০ প্রজাতির ২৫ হাজারের বেশি গাছের চারা রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ** করা হয়েছে, যা পরিবেশগত ও পর্যটনগত দিক থেকে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।আগামীকাল, **২৫ জুন**, রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা **তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া**।এই সাফল্য প্রসঙ্গে ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া বলেন,> “সাবেক জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এবং সাবেক ইউএনও রক্তিম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায়ই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। ডিসি পার্ক ছাড়াও পুরো উপজেলার সর্বত্র সবুজায়ন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টির লক্ষে সাবেক ইউনো রক্তিম চৌধুরী উপজেলার প্রায় ২০ টি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় উপজেলার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি রোড়ের গাড়িটানা হতে হাতিমুড়া, মানিকছড়ি বাজার হতে বাটনা রোড, পুরাতন উপজেলা রোড (ডিসি পার্ক পর্যন্ত) সোনালু, জারুল, কৃষ্ণচূড়া, জলপাই সহ নানা জাতের চারা রোপন করেন।বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই যারা এই পার্কে বৃক্ষরোপণে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।”তিনি আরও বলেন, “জাতীয় এই স্বীকৃতি মানিকছড়ি উপজেলাবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। আমরা চাই, এই পার্ক শুধু একটি ট্যুরিস্ট স্পট না, বরং একটি সচেতনতা ও শিক্ষার ক্ষেত্র হয়ে উঠুক।”

 বিশেষ দ্রষ্টব্য:

মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার ও ইকো ট্যুরিজম পার্ক বর্তমানে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের অন্যতম উদাহরণ। পার্কটিতে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।