০৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতিবন্ধী নারীকে ঘুষের বিনিময়ে মুক্তি দিল কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ

পৈত্রিক বসতভিটার একটি গাছ কাটার জেরে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে ঘুষ দিয়ে মুক্তি পেতে হয়েছে হতদরিদ্র এক প্রতিবন্ধী নারীকে। অভিযোগ উঠেছে, থানায় নিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা আটকে রেখে ঘুষ আদায় করেছেন রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিটন মিয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ জুন মঙ্গলবার, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের রতন মিয়ার বাড়িতে। অভিযুক্ত প্রতিবন্ধী নারী কমলা বেগম, যিনি স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন তাদের পৈত্রিক জমিতে।
কমলা বেগম জানান, “দীর্ঘদিন ধরে এই ভিটায় বাস করছি। স্বামী-স্ত্রী মিলে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই বানানোর স্বপ্ন দেখছিলাম। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কাঠের জন্য বসতভিটার একটি রেইনট্রি গাছ কাটি। তখনই রেলওয়ে থানার পুলিশ এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে গাছসহ থানায় নেয়ার হুমকি দেয়। পরে সীমানা মাপার পরও দেখা যায়, গাছটি রেলওয়ের জমি নয় বরং আমাদের নিজস্ব ভিটার ভেতরে। তবু পুলিশ শুনলো না।”
তিনি আরও বলেন, “পরদিন সকালে মেয়ের জামাই দ্বীন ইসলামকে নিয়ে থানায় গেলে ওসি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনে গেছে, মিমাংসা করতে হলে ২০-২৫ হাজার টাকা লাগবে। দর কষাকষির পর ৫ হাজার টাকা একটি খামে ভরে টেবিলে রেখে আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়।”
কমলা বেগমের জামাতা দ্বীন ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “থানায় ৪-৫ ঘণ্টা আটকে রেখে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। পরে হুমকি দেয়া হয়, ঘটনা ফাঁস করলে জেল হাজতে পাঠানো হবে।”
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি লিটন মিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ওষুধ খাওয়া হলোনা ছেলের, ওষুধ কিনতে গিয়ে নছিমনের ধাক্কায় কৃষক বাবার মৃত্যু

প্রতিবন্ধী নারীকে ঘুষের বিনিময়ে মুক্তি দিল কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৩৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
পৈত্রিক বসতভিটার একটি গাছ কাটার জেরে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে ঘুষ দিয়ে মুক্তি পেতে হয়েছে হতদরিদ্র এক প্রতিবন্ধী নারীকে। অভিযোগ উঠেছে, থানায় নিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা আটকে রেখে ঘুষ আদায় করেছেন রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিটন মিয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ জুন মঙ্গলবার, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের রতন মিয়ার বাড়িতে। অভিযুক্ত প্রতিবন্ধী নারী কমলা বেগম, যিনি স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন তাদের পৈত্রিক জমিতে।
কমলা বেগম জানান, “দীর্ঘদিন ধরে এই ভিটায় বাস করছি। স্বামী-স্ত্রী মিলে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই বানানোর স্বপ্ন দেখছিলাম। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কাঠের জন্য বসতভিটার একটি রেইনট্রি গাছ কাটি। তখনই রেলওয়ে থানার পুলিশ এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে গাছসহ থানায় নেয়ার হুমকি দেয়। পরে সীমানা মাপার পরও দেখা যায়, গাছটি রেলওয়ের জমি নয় বরং আমাদের নিজস্ব ভিটার ভেতরে। তবু পুলিশ শুনলো না।”
তিনি আরও বলেন, “পরদিন সকালে মেয়ের জামাই দ্বীন ইসলামকে নিয়ে থানায় গেলে ওসি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনে গেছে, মিমাংসা করতে হলে ২০-২৫ হাজার টাকা লাগবে। দর কষাকষির পর ৫ হাজার টাকা একটি খামে ভরে টেবিলে রেখে আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়।”
কমলা বেগমের জামাতা দ্বীন ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “থানায় ৪-৫ ঘণ্টা আটকে রেখে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। পরে হুমকি দেয়া হয়, ঘটনা ফাঁস করলে জেল হাজতে পাঠানো হবে।”
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি লিটন মিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।