
১৬ জুলাইকে শহীদ আবু সাঈদ দিবস ঘোষণা করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার, এর নতুন নাম এখন হবে জুলাই শহীদ দিবস। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে-জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে ঘোষিত তিনটি দিবসের মধ্যে নতুন বাংলাদেশ দিবস’টি পালন না করার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার গত বুধবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে নতুন বাংলাদেশ দিবস এবং গণ-আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে শহীদ আবু সাঈদ দিবস ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করেছিল।
৮ আগস্টকে নতুন বাংলাদেশ দিবস করার ঘোষণায় এনসিপি নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলেন।
এছাড়াও ৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস পালনের ঘোষণা প্রত্যাখান করে ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। তাদের ভাষ্য, জাতীয় মুক্তি দিবস ৫ আগস্ট, ৮ আগস্ট নয়। সরকার ৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস পালনের চেষ্টা করলে সেদিন ‘বিপ্লব-বেহাত দিবস পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে নানামুখি আলোচনা চলে। অভ্যুত্থানের পক্ষের ছাত্র-জনতার অনেক আকাঙ্ক্ষা যে সরকার পূরণ করতে পারেনি, সেসব কথাও আসে। এরমধ্যেই রোববারের বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত এলো দিবসটি বাতিলের।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠকের পর ফেইসবুকে লেখেন, উপদেষ্টা পরিষদ ১৬ জুলাইকে জুলাই শহীদ দিবস এবং ৫ আগস্টকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৮ আগস্টের জন্য কোনো বিশেষ উদযাপন হবে না।