১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়তি এস আলমের জামাতা,ভাই ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলেসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৯ কোটি ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের ভাই, ভাগিনা, মেয়ে জামাই, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি, সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলেসহ ব্যাংক ও গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়–১ এ প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে সাদ মুসা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেডের হয়ে দুটি ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়–১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমদ জানান, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের (বর্তমান গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক) খাতুনগঞ্জ শাখায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রয়োজনীয় জামানত ছাড়াই জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দুটি ঋণের মাধ্যমে ২৯ কোটি ১৬ লাখ ৫২ হাজার এবং ২০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলায় দণ্ডবিধির ধারাসমূহ: ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩।
মামলার আসামিরা হলেন— সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ মোহসিন (৬৫), তার স্ত্রী মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামীমা নারগিস চৌধুরী (৬০), গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী (৬৫), ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (৫৯), সাবেক পরিচালক বেলাল আহমেদ (৪০), সাবেক পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ (৭০), সাবেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ ফারুক (৭১), সাবেক পরিচালক আরিফ আহমেদ (৪৩), সাবেক ওসমান গনি (৫৮), মায়মুনা খানম (৩৪), সাবেক পরিচালক সরোয়ার জাহান মালেক (৬২), সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল (৩৮), সাবেক পরিচালক শাহানা ফেরদৌস (৪৯), সাবেক পরিচালক সাজেদা নুর বেগম (৫৮), সাবেক পরিচালক বোরহানুল হাসান চৌধুরী (৩৭), সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা (৭৬), সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক এস এ এম সলিমউল্লাহ (৭৫), গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার (৭১), সাবেক এসভিপি এন্ড হেড অব ক্রেডিট মোহাম্মদ মাহমুদ আলম (৫৪), ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী মশিউ রহমান জাহেদ (৬৮), এসএভিপি এন্ড ম্যানেজার মো. শামসুল আলম (৫২), এসপিও এন্ড ম্যানেজার অপারেশন মুন্নশ্রী চক্রবর্তী (৪৯), প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হাসান আলী (৪৫), জুনিয়র অফিসার রিফাত ইফতেখারুল আলম (৩৯), মো. মিজানুর রহমান এবং নিগার সুলতানা (৩৯)।
এদের মধ্যে বেলাল আহমেদ হলেন— এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের মেয়ে জামাই, ওসমান গনি তার ভাই, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল ভাগিনা, এবং বোরহানুল হাসান চৌধুরী চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও ভারতে পলাতক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ভাই।
মামলা সংক্রান্ত তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দুদক জানিয়েছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গ্রাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাণীনগরের তরিকুল ইসলাম

৫০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়তি এস আলমের জামাতা,ভাই ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলেসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৯ কোটি ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের ভাই, ভাগিনা, মেয়ে জামাই, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি, সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলেসহ ব্যাংক ও গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়–১ এ প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে সাদ মুসা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেডের হয়ে দুটি ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়–১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমদ জানান, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের (বর্তমান গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক) খাতুনগঞ্জ শাখায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রয়োজনীয় জামানত ছাড়াই জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দুটি ঋণের মাধ্যমে ২৯ কোটি ১৬ লাখ ৫২ হাজার এবং ২০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলায় দণ্ডবিধির ধারাসমূহ: ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩।
মামলার আসামিরা হলেন— সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ মোহসিন (৬৫), তার স্ত্রী মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামীমা নারগিস চৌধুরী (৬০), গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী (৬৫), ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (৫৯), সাবেক পরিচালক বেলাল আহমেদ (৪০), সাবেক পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ (৭০), সাবেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ ফারুক (৭১), সাবেক পরিচালক আরিফ আহমেদ (৪৩), সাবেক ওসমান গনি (৫৮), মায়মুনা খানম (৩৪), সাবেক পরিচালক সরোয়ার জাহান মালেক (৬২), সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল (৩৮), সাবেক পরিচালক শাহানা ফেরদৌস (৪৯), সাবেক পরিচালক সাজেদা নুর বেগম (৫৮), সাবেক পরিচালক বোরহানুল হাসান চৌধুরী (৩৭), সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা (৭৬), সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক এস এ এম সলিমউল্লাহ (৭৫), গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার (৭১), সাবেক এসভিপি এন্ড হেড অব ক্রেডিট মোহাম্মদ মাহমুদ আলম (৫৪), ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী মশিউ রহমান জাহেদ (৬৮), এসএভিপি এন্ড ম্যানেজার মো. শামসুল আলম (৫২), এসপিও এন্ড ম্যানেজার অপারেশন মুন্নশ্রী চক্রবর্তী (৪৯), প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হাসান আলী (৪৫), জুনিয়র অফিসার রিফাত ইফতেখারুল আলম (৩৯), মো. মিজানুর রহমান এবং নিগার সুলতানা (৩৯)।
এদের মধ্যে বেলাল আহমেদ হলেন— এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের মেয়ে জামাই, ওসমান গনি তার ভাই, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল ভাগিনা, এবং বোরহানুল হাসান চৌধুরী চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও ভারতে পলাতক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ভাই।
মামলা সংক্রান্ত তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দুদক জানিয়েছে।