
চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ চর জুড়ে ভরে গেছে লাল মরিচে। এ বছর মরিচের ভালো ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর জেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ১ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে। চাষকৃত মরিচের মধ্যে হাইব্রিড জাতের বিজলী, যমুনা, রশনী, ঝিলিক উন্নত জাতের মধ্যে বারি-৩, সুপার সনিক, রংপুরী, ছাড়াও স্থানীয় জাতের মরিচের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে শুকনা মরিচের উৎপাদন হয়েছে ২ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন। এ বছর জেলায় শুকনা মরিচের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ২৩৯ মেট্রিক টন। জেলার বেশি ভাগ মরিচ উৎপাদন হয় সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার চরাঞ্চলে । স্থানীয় বাজার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে আর শুকনো মরিচ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫৫০ টাকা কেজি দরে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় যমুনার চরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বগুড়ার চরে উৎপাদিত কাঁচা মরিচ ও শুকনো মরিচ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনতে আসছেন পাইকাররা। প্রতি কেজি ৪০০/৪৫০ দরে ব্যাপারীরা মরিচ কিনে নিয়ে যান। অনেক ব্যাপারী হাট থেকে মরিচ কিনে চরের তপ্ত বালুর ওপর শুকিয়ে নিয়ে যান। এ বছর চরের কৃষকরা মরিচ চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। ভান্ডার বাড়ি ইউনিয়নর বৈশাখী চরের মরিচ চাষি মাছুম জানান, এ বছর ১ বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছেন। কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছে ৫০,০০০/= হাজার টাকা। আরও চার মন শুকনো মরিচ ঘরে আছে । বাজারে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি। বর্তমান বাজারে চার মণ মরিচ ৯৬ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান এই মরিচ চাষি। ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছামিদুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলার যমুনা চরে ১২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু মরিচ চাষ লক্ষ্য মাত্রা ছেড়ে ১৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।