০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যমুনা ও ইছামতী নদীতে বিদ্যুৎ শক দিয়ে অবাধে চলছে মাছ নিধন – মাছের অস্তিত্ব সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিবে

সিরাজগঞ্জের যমুনা ও ইছামতী  নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অসাধু জেলে ও স্থানীয় অসাধু লোক  অভিনব কৌশলে মাছ নিধন করছে। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারির মাধ্যমে পানিতে বিদ্যুৎ শক দিয়ে ও খাদ্যের সঙ্গে ভারতীয় ওষুধ মিশিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে যমুনা ও ইছামতীতে  মাছের অস্তিত্ব সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর ও সদর উপজেলার যমুনা ও ইছামতী  নদীতে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ পদ্ধতিতে মাছ শিকার চলছে। দিনে ও রাতে অসাধু কিছু
স্থানীয় জেলেরা বিদ্যুৎ শক দিয়ে মাছ ধরছে, যা স্থানীয় হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে যমুনা সেতুর উভয় পাশে,সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নে বাহুকা ও একডালাসহ বেশ কিছু যায়গায় এই কৌশলে মাছ ধরা হচ্ছে। এরা প্রথমে খাদ্যের সঙ্গে বিশেষ ওষুধ মিশিয়ে নদীর পানিতে ছিটানো হয়। এতে মাছগুলো পানির উপরে উঠে এলে ব্যাটারিচালিত উচ্চক্ষমতার বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছগুলো হত্যা করা হয়। পরে বিশেষ ধরনের গোল ও ত্রিভুজাকৃতির জাল ব্যবহার করে এসব মাছ সংগ্রহ করা হয়। এই মাছ বিক্রি করে অসৎ জেলেরা লাভবান হলেও যমুনাসহ ইছামতীতে  মাছের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে এমন নিষ্ঠুর কৌশলে মাছ নিধন চললেও মৎস্য বিভাগ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এক মৎস্য কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,আমরা বিষয়টি জানি, তবে জনবল সংকটের কারণে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সাগরে ৩ নং সতর্ক সংকেত, সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

যমুনা ও ইছামতী নদীতে বিদ্যুৎ শক দিয়ে অবাধে চলছে মাছ নিধন – মাছের অস্তিত্ব সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিবে

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৪৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
সিরাজগঞ্জের যমুনা ও ইছামতী  নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অসাধু জেলে ও স্থানীয় অসাধু লোক  অভিনব কৌশলে মাছ নিধন করছে। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারির মাধ্যমে পানিতে বিদ্যুৎ শক দিয়ে ও খাদ্যের সঙ্গে ভারতীয় ওষুধ মিশিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে যমুনা ও ইছামতীতে  মাছের অস্তিত্ব সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর ও সদর উপজেলার যমুনা ও ইছামতী  নদীতে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ পদ্ধতিতে মাছ শিকার চলছে। দিনে ও রাতে অসাধু কিছু
স্থানীয় জেলেরা বিদ্যুৎ শক দিয়ে মাছ ধরছে, যা স্থানীয় হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে যমুনা সেতুর উভয় পাশে,সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নে বাহুকা ও একডালাসহ বেশ কিছু যায়গায় এই কৌশলে মাছ ধরা হচ্ছে। এরা প্রথমে খাদ্যের সঙ্গে বিশেষ ওষুধ মিশিয়ে নদীর পানিতে ছিটানো হয়। এতে মাছগুলো পানির উপরে উঠে এলে ব্যাটারিচালিত উচ্চক্ষমতার বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছগুলো হত্যা করা হয়। পরে বিশেষ ধরনের গোল ও ত্রিভুজাকৃতির জাল ব্যবহার করে এসব মাছ সংগ্রহ করা হয়। এই মাছ বিক্রি করে অসৎ জেলেরা লাভবান হলেও যমুনাসহ ইছামতীতে  মাছের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে এমন নিষ্ঠুর কৌশলে মাছ নিধন চললেও মৎস্য বিভাগ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এক মৎস্য কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,আমরা বিষয়টি জানি, তবে জনবল সংকটের কারণে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।